পুষ্করের ব্রহ্মা মন্দিরে প্রার্থনা করলেন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়

আজমের / পুষ্কর, ১৪ মে (হি.স.) : রবিবার পুষ্করের ব্রহ্মা ও জাট শিব মন্দিরে পুজো-প্রার্থনা করলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। এ সময় তাঁর স্ত্রী সুদেশ ধনখড়ও উপস্থিত ছিলেন। ব্রাহ্ম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত কৃষ্ণ গোপাল বশিষ্ঠ উপরাষ্ট্রপতির আচার অনুষ্ঠান পালন করেন। এসময় কৃষ্ণ গোপাল তাঁকে ১৯৯৩ সালের পুষ্কর যাত্রার সময় তার ছবি উপহার দিয়েছিলেন।

উপরাষ্ট্রপতির আগমনকে কেন্দ্র করে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ব্রহ্মা মন্দির সাধারণ ভক্তদের জন্য বন্ধ রাখা হয়। উভয় মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। উপ-রাষ্ট্রপতি ধনখড় সকালে একটি সামরিক বিমানে জয়পুরের সাঙ্গানার বিমানবন্দরে পৌঁছান, সেখানে তাঁকে রাজ্যপাল কালরাজ মিশ্র এবং কৃষিমন্ত্রী লালচুন্ত কাটারিয়া স্বাগত জানান। সকাল সাড়ে ১০টায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে উপরাষ্ট্রপতি পুষ্করে পৌঁছান। পুষ্করের মন্দির দর্শনের পরে সকাল ১১.৪৫ টায় নাগৌরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পুষ্করে, আজমীরের সাংসদ ভগীরথ চৌধুরী, আরটিডিসি চেয়ারম্যান ধর্মেন্দ্র রাঠোড় উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়কে বিদায় জানান। নাগৌরের মের্তাতে তিনি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নাথুরাম মিরধা স্মৃতি স্মৃতিসৌধে মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বিকাল সাড়ে ৩টায় সভাস্থলে পৌঁছাবেন।
রবিবার উপরাষ্ট্রপতির পুষ্করে ধর্মীয় সফরের সময় ব্রহ্মা মন্দিরে পূজার অনুষ্ঠানের প্রস্তাব করা হয়েছিল, কিন্তু স্বর্ণযুগের তীর্থস্থান পুষ্কর সরোবরের পূজার কর্মসূচি প্রস্তাব না করায় উপরাষ্ট্রপতির পূর্বপুরুষের পুরোহিতরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। পুরোহিত পন্ডিত সুমিত এবং হর্ষ পরাশর এসডিওর মাধ্যমে উপরাষ্ট্রপতির কাছে একটি অনলাইন স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন। এছাড়াও রবিবার উপরাষ্ট্রপতির সরোবর পুজোর অনুষ্ঠানের প্রস্তাব না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তীর্থ পুরোহিত সংঘ ট্রাস্ট। ট্রাস্টের সভাপতি লাদুরাম শর্মা জারি করা বিবৃতিতে সমস্ত তীর্থযাত্রী পুরোহিতদের পক্ষে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *