মালাপ্পুরম, ৮ মে (হি.স.): কেরলের মালাপ্পুরমে হাউসবোট অর্থাৎ পর্যটকদের নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২-এ পৌঁছেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সারারাত উদ্ধারকাজ জারি ছিল, সোমবার সকালেও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। কেরলের মালাপ্পুরম জেলায় তনুরের কাছে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র অট্টুমব্রাম থুভাল থিরাম। রবিবার সন্ধ্যায় সেখানেই একটি জলাশয়ে হাউসবোটে থাকার আনন্দ উপভোগ করছিলেন পর্যটকেরা। ওই হাউসবোটে মোট ৪০ জন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পর্যটকবোঝাই নৌকাটি হঠাৎ উল্টে যায়। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং দমকল। দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু হয়। পরে উদ্ধারকাজে হাত লাগায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। কেরলের মন্ত্রী ভি আবদুরাহিমান জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ২২। যাদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার সকালেও জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। এদিকে, সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কেরলের রাজস্ব মন্ত্রী কে রাজন ও বন ও বন্যপ্রাণী মন্ত্রী এ কে সাসেন্দ্রনও। মন্ত্রী কে রাজন বলেছেন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২-এ পৌঁছেছে। নৌকায় যতজন ছিলেন তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তল্লাশি অভিযান চলছে। এনডিআরএফ, দমকল এবং স্কুবা ডাইভিং দল তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। এগিয়ে এসেছে নৌবাহিনীর দলও, চেতক হেলিকপ্টারের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। কোস্টগার্ড গতকাল এসেছে। এনডিআরএফ-এর দ্বিতীয় দলও এখানে পৌঁছবে।
কেরলের এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন। ওই টাকা দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে। এছাড়াও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন-সহ অনেকেই এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। মর্মবেদনা প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল, কেরল নিবাসী ডক্টর সি ভি আনন্দ বোসও।