বাসন্তী, ৮ মে (হি. স.) : তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারির ফলে দুই যুব তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হলেন রবিবার রাতে। বাসন্তীর ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের আনন্দাবাদ গ্রামের এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। রাতেই এসডিপিও ক্যানিং দিবাকর দাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় সোমবারও সেখানে পুলিশ মোতায়েন ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত বছর ২০ শে আগস্ট জানে আলম গাজি নামে এক তৃণমূল কর্মী খুন হন এই এলাকায়। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে যুব তৃণমূল কর্মীদের দিকে। ঘটনার পর এলাকার তৃণমূল কর্মীরা সমস্ত যুব কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয়, তাঁদেরকে মারধর করে এলাকাছাড়া করে দেয়। দীর্ঘদিন বাইরে থাকার পর অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশ প্রশাসন দিন কয়েক আগে যুব তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে ফেরায়। অভিযোগ, আচমকাই রবিবার রাতে যুব তৃণমূল কর্মী জহিরুল মোল্লা ও মামুদ আলি শেখের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁদেরকে বেধড়ক মারধর করা হয়। অভিযোগ এলাকার তৃণমূল কর্মী জাকির ঘরামী, ইয়াসিন মোল্লা ও তাঁদের অনুগামীরা মারধর করে এই যুব তৃণমূল কর্মীদের। ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদেরকে উদ্ধার করে বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বাসন্তীর যুব তৃণমূল নেতা আমানুল্লা লস্কর বলেন, “ জাকির, ইয়াসিন এরা সকলেই দুষ্কৃতী। তৃণমূলের নাম ভাঙিয়ে চলে। এরা আদতে আরএসপির লোক। রবিবার রাতে আমাদের চারজন কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে। পুলিশ প্রশাসন যাতে এঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয় সেই দাবি জানাচ্ছি।” পাল্টা বাসন্তী ব্লক তৃণমূলের কনভেনর আব্দুল মান্নান গাজি বলেন, “ এরা দুজনেই খুনের আসামী। দীর্ঘদিন এলাকায় ছিল না। সম্প্রতি বাড়ি ফিরে এসে জানে আলম খুনের ঘটনায় যারা এঁদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছিল তাঁদেরকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছিল। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করলে তৃণমূল কর্মীদের মারধর করে। পাল্টা গ্রামের মানুষও উত্তেজিত হয়ে মারধর করে। এরা কেউ তৃণমূল নয়, আজ পর্যন্ত তৃণমূলকে ভোট দেয় নি। নিজেদেরকে বাঁচাতে তৃণমূল যুব সংগঠনের ব্যানার ব্যবহার করে। এরা সব আরএসপি সিপিএমের দালাল।” এ প্রসঙ্গে আরএসপি নেতা সুভাষ নস্কর বলেন, “ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দল সকলের জানা। নিজেদের কোন্দল চাপা দেওয়ার জন্য আরএসপি, সিপিএমের নাম করছে। মানুষ এতো বোকা নয় যে ওঁরা বললেই বিশ্বাস করে নেবে।”