জেনেভা, ৬ মে (হি.স): দীর্ঘ লড়াইয়ের পর করোনাকালীন জরুরি অবস্থার সমাপ্তি ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ডব্লিউএইচও জানিয়ে দিল-করোনা মহামারি আর ‘আপতকালীন স্বাস্থ্য বিপর্যয়’ নয়।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, করোনায় বিগত কয়েক বছরে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এটি বিশ্ব অর্থনীতিকে তছনছ করেছে, বহু মানব গোষ্ঠীকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। তবে এখন থেকে করোনা আর বিশ্ব স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার অন্তর্ভূক্ত নয়। যদিও এর পরেও করোনার অস্তিত্ব থাকবে বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। তবে তার জেরে ভয়াবহ কিছু হওয়ার আশঙ্কা আর নেই।
ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রস গ্যাবরিয়েসাস এদিন বলেন, ‘বড় আশার সঙ্গে আমি করোনা ঘিরে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার সমাপ্তি ঘোষণা করছি।’ সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, তবে এই জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়া মানে ঝুঁকি কমে যাওয়া বা আশঙ্কা কমে যাওয়া নয়। বড় কোনও আপতকালীন পরিস্থিতি আর তৈরি না করলেও, করোনা থেকেই যাচ্ছে। যদিও এর জেরে ভয়াবহ কিছু হওয়ার আশঙ্কা আর নেই। গ্যাবরিয়েসাস বলেন, ‘করোনা বিশ্বকে পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমাদেরও পাল্টে দিয়েছে। আর এর শেষটা এভাবেই হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সালের শুরুর দিক পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয় এই মহামারিটি। যদিও করোনা মহামারির উদ্ভব কোথায় এবং কিভাবে হয়, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনও স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। তবে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি এই ভাইরাসকে আপতকালীন স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের তকমা দেয় ডব্লিউএইচও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, গত ৩ বছরে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা ভাইরাস। মূলত টিকাকরণের মাধ্যমেই করোনা নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে বলে দাবি করেছে ডব্লিউএইচও। এ বিষয়ে সংস্থাটির তরফে এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানানো হয়, ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত যেখানে বিশ্বে প্রতিদিন এক লাখ মানুষ করোনায় মারা যেতেন, সেখানে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিলে প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ৩৫০০-তে।–