সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে সংঘর্ষে হত ২, আহত ১১

ইমফল, ৪ মে (হি.স.) : জ্বলছে মণিপুর। হিংসাজর্জর জেলায় নামানো হয়েছে সেনা বাহিনী। খবরে প্রকাশ, গতকাল রাতে সংগঠিত সহিংসতায় ১১ জন সাধারণ মানুষ আহত হওয়ার পাশাপাশি কাংপোকপি জেলার সাইকুলে নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে মারা গেছেন দুই আন্দোলনকারী। এ ঘটনার পর আগুনের ওপর ঘি পড়ার অবস্থা হয়েছে রাজ্যে। হিংসাজৰ্জর এলাকায় ফ্ল্যাগমার্চ করছে সেনাবাহিনী। এছাড়া সহিংসতার শিকার চার হাজারের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা এখন সেনাবাহিনীর আশ্রিত।

এদিকে, মণিপুরের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং রাজ্যবাসীর কাছে শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ইমফল, বিষ্ণুপুর এবং মোরেহ জেলায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা অনভিপ্রেত। এ ধরনের হিংসাত্মক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট বিক্ষোভকারীদের কাছেও আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং।

গতকাল বিকেলে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, মণিপুর’ (এটিএসইউএম) আাহূত সংহতি মিছিলের পর পাহাড়ি জেলা বিষ্ণুপুর, ফেরজাওল, জিরিবাম, পশ্চিম ইমফল, থউবাল, টেংনোপাল, কাকচিং এবং কাংপোকপিতে ব্যাপক সহিংসতা ছড়ায়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই মণিপুরের আট জেলায় জারি করা হয়েছে সিআরপিসির ১৪৪ ধারা। ওই সব জেলাগুলিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকলে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে নামানো হয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। জানা গেছে, উপদ্রুত এলাকাগুলিতে ফ্ল্যাগমার্চ করছে জওয়ান।

তফশিলি উপজাতি (এসটি) তালিকায় মেইতেই সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, মণিপুর’-এর উদ্যোগে গতকাল বিকেলে মণিপুরের উপজাতি সংগঠনগুলি ‘সংহতি মিছিল’-এর আয়োজন করেছিল। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা মণিপুরের বুংমুয়ালে বন বিভাগের বিট অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কয়েক জায়গায় টায়ার পোড়ানোর মতো বিচ্ছিন্ন ঘটনা সংগঠিত করেছে। কেবল তা-ই নয়, বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং গাড়িতে অগ্নিসংযোগও করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অ্যাকশনে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। তখন তাঁদের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে লিপ্ত হয় বিক্ষোভকারীরা। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।