করিমগঞ্জ (অসম), ৩০ এপ্রিল (হি.স.) : কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২-তম জন্মজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে এবার প্রথমবারের মতো অসম ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে রাজ্যের ১৬টি জেলার সঙ্গে সংগতি রেখে আজ করিমগঞ্জ জেলায়ও দিনভর রবীন্দ্র সংগীত ও নৃত্য প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে জেলাভিত্তিক প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
আজ রবিবার করিমগঞ্জের সরস্বতী বিদ্যামন্দিরে স্বর্গীয় অরবিন্দ রায় স্মৃতি সভাগৃহে সকাল সাড়ে দশটায় জেলাভিত্তিক এই প্রতিযোগিতামুলক অনুষ্ঠানে কবিগুরুর প্রতিকৃতির সামনে প্রদীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন অসম রাজ্য পরিবহণ নিগমের অধ্যক্ষ মিশনরঞ্জন দাস।
সকাল ১১টা থেকে বিদ্যানিকেতনের পৃথক পৃথক প্রেক্ষাগৃহে ‘ক’ ও ‘খ’ বিভাগে প্রতিযোগিতামূলক রবীন্দ্র সংগীত ও রবীন্দ্র নৃত্য পরিবেশন করে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রায় দেড় শতাধিক সংগীত ও নৃত্যশিল্পীরা। পরে বিচারকদের চূড়ান্ত রায়ে রবীন্দ্রনৃত্যের ‘ক’ বিভাগে প্রথম হয় পাথারকান্দির রিমা দেব, দ্বিতীয় করিমগঞ্জের দীপাঞ্জলী আচার্য ও তৃতীয় হয়েছে করিমগঞ্জের শ্রেয়া ধর।
একইভাবে ‘খ’ বিভাগে প্রথম হয়েছে শাশ্বতী দত্ত, দ্বিতীয় করিমগঞ্জের দেবীমালা দত্ত, তৃতীয় লাতুর দেবী দাস। রবীন্দ্র সংগীতে ‘ক’ বিভাগে প্রথম করিমগঞ্জের প্রিয়াঙ্কা দাসচৌধুরী, দ্বিতীয় বদরপুরের প্রিয়ম দত্ত ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে করিমগঞ্জের রাজলক্ষ্মী দাস।
প্রতিযোগিতার ‘খ’ বিভাগে প্রথম হয়েছে করিমগঞ্জের সুস্মিতা চক্রবর্তী, দ্বিতীয় করিমগঞ্জের ময়ূরী দাস ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে রামকৃষ্ণনগরের মহাশ্বেতা চক্রবর্তী।
নৃত্য বিচারক হিসেবে ছিলেন মাধুরী পোদ্দার, দিব্যজ্যোতি চক্রবর্তী ও মৌটুসী দে দাস। অপরদিকে রবীন্দ্র সংগীতের বিচারক ছিলেন সুব্রত খাজাঞ্চি, সৌমেন পাল ও শ্রাবণী পাল।
করিমগঞ্জ রবীন্দ্রসদন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষা শর্মিষ্ঠা খাজাঞ্চির পৌরোহিত্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করেছেন বিশিষ্ট নৃত্যগুরু সুলেখা দত্তচৌধুরী, বিশিষ্ট তবলা বাদক গুরু জগন্নাথ দেব, সরস্বতী বিদ্যানিকেতনের প্রধান আচার্য অঞ্জন গোস্বামী, বিজেপির করিমগঞ্জ জেলা সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য, সমাজকর্মী অমরেশ দে, ডা. দেবতোষ পাল, শিক্ষক অলক পাল, প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর অরূপ রায় প্রমুখ।করিমগঞ্জে একক রবীন্দ্রনৃত্য ও সংগীত প্রতিযোগিতা সম্পন্ন