তেলিয়ামুড়া- ৭১/৭(২০)
শান্তিরবাজার-৭৪/৫(১৯.১)
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ এপ্রিল।।এবারই প্রথম। ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো শান্তিরবাজার মহকুমা। অনূর্ধ্ব-১৫ রাজ্য আসরের পর রাজ্য মহিলা ক্রিকেটেও ফাইনালে খেলার ছাড়পত্র পেলেন দেবব্রত চৌধুরির দল। আগামীকাল খেতাব নির্ণায়ক ম্যাচে শান্তিরবাজার খেলবে আসরের হট ফেভারিট দল সদর ‘এ’ বিরুদ্ধে। এম বি বি স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল ম্যাচটি। রাজ্য সিনিয়র মহিলাদের টি-২০ ক্রিকেটে। শনিবার নরসিংগড় পুলিস ট্রেণিং আকাদেমি মাঠে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচটিতে শান্তিরবাজার মহকুমা ৫ উইকেটে পরাজিত করে তেলিয়ামুড়া মহকুমাকে। তেলিয়ামুড়ার গড়া ৭১ রানের জবাবে শান্তিরবাজার ৫ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। বিজয়ী দলের রিফু দেববর্মা প্রথম বল হাতে ১ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে অপরাজিত ৩০ রান করে দলকে ফাইনালে তুলতে মূখ্য ভূমিকা নেন। সঙ্গত কারনেই রিফুকে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার বেছে নেওয়া হয়। সকালে টসে জয়লাভ করে প্রথমে ব্যাট নিয়ে শান্তিরবাজারের বোলারদের আটোসাটো বোলিংয়ের সামনে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭১ রান করতে সক্ষম হয় তেলিয়ামুড়া মহকুমাকে। দলকে সেমিফাইনালে তোলার মূল নায়িকা প্রীয়াঙ্কা দাস ব্যর্থ হওয়ায় বেশীদূর এগুতি পারেনি তেলিয়ামুড়া। দলের পক্ষে ওপেনার মামিতা দেব ৪৪ বল খেলে ১ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২২ এবং সেবিকা দাস ১৩ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮ রান করেন। দলের আর কোনও ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রানে পা রাখতে পারেননি। দল অতিরিক্ত খাতে পায় ১৩ রান। শান্তিরবাজারের পক্ষে রেবিকা নোয়াতিয়া (১/৮),রিফু দেববর্মা (১/১৩),অনিমা মুড়াসিং (১/১৪) এবং প্রীয়াঙ্কা নোয়াইতয়া (১/১৬) সফল বোলার। জবাবে খেলতে নেমে শান্তিরবাজার মহকুমা ১৯.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জযের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। দলের পক্ষে রিফু দেববর্মা ২৩ বল খেলে ৪ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩০ রানে এবং ওপেনার অনণ্যা দেবনাথ ৩৭ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭ রানে অপরাজিত থেকে যান। এছাড়া কেউ রান করতে পারেননি। তেলিয়ামুড়ার পক্ষে দলনায়িকা প্রীয়াঙ্কা দাস (৩/৭) সফল বোলার। প্রথমবার ফাইনালে খেলার ছাড়পত্র অর্জন করায় দলীয় ক্রিকেটার, কোচ এবং সাপোর্টিং স্টাফদের অভিনন্দন জানিয়েছেন মহকুমা ক্রিকেট সংস্থার সচিউব সাধুঅং মগ।

