নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ এপ্রিল৷৷ গড়িয়া উৎসব এখন সর্বজনীন উৎসবের রূপ নিয়েছে৷ বাবা গড়িয়া শক্তির দেবতা৷ এক সময় গড়িয়া উৎসব জনজাতি গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও আজ এই উৎসব রাজ্যের সকল জাতি ও জনজাতি অংশের মানুষের উৎসব৷ আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজমদার আজ স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে গড়িয়া ও চিরাচরিত খাদ্য উৎসবের উদ্বোধন করে একথা বলেন৷ আগরতলা শহরে এ ধরনের একটি উৎসবের আয়োজন করায় মেয়র দীপক মজমদার উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান৷ তিনি বলেন, গড়িয়া পূজা রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী পূজা৷ এই পূজা শস্য উৎপাদন, পরিবার, সমাজ ও রাজ্যের কল্যাণে আয়োজন করা হয়৷ গড়িয়া উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত চিরাচরিত খাদ্য উৎসবে মোট ২০টি স্টল খোলা হয়েছে৷ স্বউদ্যোগী জনজাতি মহিলারা নিজ হাতে তৈরি নানা সুুস্বাদু খাবার এই স্টলগুলিতে প্রদর্শন ও বিক্রির ব্যবস্থা করেছেন৷ এতে রয়েছে চাখুই, বাঙ্গই, আমের চাটনি, জস, কেক, পাছড়া, চুড়ি, গয়না, হস্ততাঁত ও হস্তশিল্প সামগ্রী৷
উৎসবে ৪টি সাংস্ক’তিক দল গড়িয়া ও মামিতা নৃত্য পরিবেশন করে৷ যা দর্শকদের মন জয় করে নেয়৷ আস্তাবলস্থিত পানতৌয় স্পোর্টিং সোসাইটির উদ্যোগে তথ্য ও সংস্ক’তি দপ্তর, জনজাতি গবেষণা সংস্থা এবং টিটিএএডিসির যৌথ সহায়তায় এই উৎসবের আয়োজন করা হয়৷ উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন ক’পা সিন্ধ জমাতিয়া ও তার দল৷ সভাপতিত্ব করেন পানতৌয় স্পোর্টিং সোসাইটির সভাপতি সুুভাষ দেববর্মা৷