নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ এপ্রিল৷৷ ডুম্বুর জলাশয় বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরার প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে৷ এসব মাছ খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে খবর মিলেছে৷ প্রশাসন এসব দুষ্টচক্রকে সতর্ক করলেও আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে তারা তাদের অপরাধ জনক কার্যকলাপ অব্যাহত রেখেছে৷ ৫ ই এপ্রিল গন্ডাছড়া মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে মহকুমা শাসক অফিসের কনফারেন্স হলে সর্ব দলীয় বৈঠক হয়৷ এই বৈঠকে ছিলেন ৪৪রাইমাভ্যালী বিধায়িকা নন্দিতা দেববর্মা, এম ডি সি ভূমিকা নন্দ রিয়াং সহ সরকারি দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকরা৷ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়৷ আলোচনায় ডম্বর জলাশয় থেকে বিষ ঢেলে মাছ মারার বিষয়টিও উঠেছিল৷ জানা যায় দীর্ঘদিন ধরেই কিছু অসাধু লোক ডুম্বুর জলাশয়ে বিষ ঢেলে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে৷ এ ধরনের মাছ খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর মিলেছে৷ এ ধরনের ভয়ংকর প্রবণতা বন্ধ করার বিষয় নিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা আলোচনায় শামিল হলেও কার্যত এখনো পর্যন্ত এ ব্যাপারে কার্যকরী কঠোর কোন পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি৷ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছিল মৎস্য দপ্তরের সুপারেনটেনডেন্টকে৷ পরবর্তী সময়ে তিনি মৎস্য বাজার পরিদর্শন করেন৷ বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করা কিছু জাতীয় সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছিল৷ সেগুলি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হয়৷ ওই সব বিষাক্ত সামগ্রী ডুম্বুর জলাশয়ে প্রয়োগ করেই মাছ ধরা হচ্ছে বলে প্রমাণিত হয়৷ এব্যাপারে মৎস্যজীবী সহ সকলকে সতর্ক করেছিলেন মৎস্য দপ্তরের সুপারেনটেনডেন্ট৷ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন এইসব অপকর্মে যারা জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ কিন্তু তাতেও কর্ণপাত করছে না ওইসব অসাধু লোকজনরা৷ স্বাভাবিক কারণেই ডুম্বুর জলাশয় এর মাছ রক্ষা করা এবং মানুষ যাতে বিষাক্ত মাছ খেয়ে অসুস্থ হয়ে না পড়ে সে বিষয়ে প্রশাসনকে আরো কঠোর মনোভাব গ্রহণ করার দাবি উঠেছে৷ উল্লেখ্য ডুম্বুর জলাশয়ে বিষ প্রয়োগ করে ধরা মাছ রাজের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷৷ অজান্তেই বহু মানুষ এ মাছ খেয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন৷