নয়াদিল্লি, ২৬ এপ্রিল (হি. স.) : ত্রিপুরার পাহাড়ে বিভিন্ন ঔষধি গাছকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যে একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরির কেন্দ্র স্থাপনের সম্ভাবনা রয়েছে। আজ নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানে অ্যাডভান্টেজ হেলথ কেয়ার ইন্ডিয়া ২০২৩ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা জোর গলায় দাবি করেন ত্রিপুরার মুখম্যন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহা। সাথে তিনি যোগ করেন, ত্রিপুরা সরকার স্বাস্থ্য পরিষেবায় এক পরিবর্তনশীল ও প্রগতিশীল নীতি নিয়ে কাজ করছে।
এদিন তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতের এক পৃথিবী এক স্বাস্থ্যের দৃষ্টিভঙ্গি যা সমস্ত প্রাণীর জন্য সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা জড়িত, রোগ প্রতিরোধ, খরচ কমাতে, খাদ্য নিরাপত্তা উন্নত করতে এবং জীবন বাঁচাতে সাহায্য করবে।
শ্রী সাহা আরও বলেন, ত্রিপুরা সরকার স্বাস্থ্য পরিষেবায় এক পরিবর্তনশীল ও প্রগতিশীল নীতি নিয়ে কাজ করছে। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ থেকে বহু রোগী চিকিৎসার জন্য ত্রিপুরায় আসেন। যদি রাজ্যে বিশ্বমানের চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে উঠে তাতে বাংলাদেশের মানুষও উপকৃত হবেন। তাঁরা কম খরচে চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
তাঁর দাবি, আয়ুষের সাথে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির সমন্বয় সাধনের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এই পরিষেবার বেশ চাহিদা আছে বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছে। তাই ত্রিপুরায় একটি বর্ডার মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলারও সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিন তিনি বলেন,দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সাথে বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ত্রিপুরায় একটি আন্তর্জাতিক মানের আয়ুর্বেদ ও যোগা বিদ্যালয় গড়ে তোলা হোক। সাব্রুমে মৈত্রী সেতু দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলে ত্রিপুরা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার গেটওয়েতে পরিণত হবে। তাতে ত্রিপুরায় বাণিজ্যিক সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
2023-04-26

