চেন্নাই, ২১ এপ্রিল (হি.স.): আজ চিপকে সিএসকে-র বিরুদ্ধে নামছে হায়দরাবাদ। বর্তমান পরিস্থিতি যাই বলুক চিপকে কিন্তু হায়দরাবাদের কাছে খুবই অভিশপ্ত মাঠ। কারণ চেন্নাই সুপার কিংসের মাঠে এখনও পর্যন্ত হায়দরাবাদের কাছে জয় অধরা।
এখন পর্যন্ত এ বারের আইপিএলে মাত্র দুটি হোম ম্যাচ খেলেছে চেন্নাই সুপার। রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারলেও ক্লোজ ম্যাচ হয়েছে। আর মরসুমে কিন্তু একেবারেই ধারাবাহিক নয় হায়দরাবাদ। মরসুমে দুটি ম্যাচ শুরু করেছিল হার দিয়ে। এরপর দুটি ম্যাচ জিতেছিল তারা। চিপকে খেলতে আসার আগে ঘরের মাঠে তারা হেরেছে। সানরাইজারসের ব্যাটিং লাইন আপ মূলত নির্ভরশীল ব্রুক এবং অধিনায়ক এইডেন মার্করামের ওপর। ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে শতরান করেছিলেন ব্রুক। গত ম্যাচে হয়েছেন ব্যর্থ। এইডেন মার্করাম, মায়াঙ্ক আগরওয়াল রানে ফিরলেও দলকে জেতানোর জন্য যথেষ্ঠ ছিল না।
আজ কিন্তু চেন্নাই সুপারের কিংসের বিরুদ্ধে চিপকে হায়দ্রাবাদের বড় চ্যালেঞ্জ।
চিপক মাঠ সাধারনত স্পিনারদের সুবিধা দিয়ে থাকে। এ মরসুমে যে দুটি ম্যাচ হয়েছে সেই ম্যাচেই স্পিনাররা সুবিধা পেয়েছেন। নিয়েছেন ১৬ উইকেট। আর পেসাররা নিয়েছেন ১১ উইকেট। চিপকের মাঠে গত ২৩টি ম্যাচের মধ্যে ১৯টিই জিতেছে চেন্নাই সুপার কিংস। অ্যাওয়ে ম্যাচে আরসিবিকে হাইস্কোরিং ম্যাচে হারিয়েছে সিএসকে।
চেন্নাই দলে পেসারদের চোটের তালিকাটা দীর্ঘ। এমন পরিস্থিতিতে তুষার দেশপান্ডে, রাজবর্ধন হাঙ্গারকেকর, আকাশ সিং, মাতিসা পাথিরানা স্নায়ুর চাপ সামলে দারুণ পারফর্ম করছেন। তেমনই ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে অধিনায়কের ভরসা অজিঙ্ক রাহানে, ডেভন কনওয়ে এবং শিবম দুবেরা। তবে চেন্নাই সুপার কিংসের চিন্তা বেন স্টোকসের চোট।
আর সানরাইজার্সের বড় চিন্তা ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতার অভাব। এছাড়াও চিপকে বিদেশি নির্বাচন নিয়েও রয়েছে বাড়তি ভাবনা। চিপকের পিচে আদিল রশিদকে খেলানোর লোভ সামলানো কঠিন। মার্কো জানসেনকে বসিয়ে রশিদ কিংবা আকিলকে খেলানো হতে পারে। তেমনই আজ সিএসকেও পাথিরানার পরিবর্তে খেলাতে পারে বাঁ হাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনারকে।

