অমরপুর(ত্রিপুরা ), ২০ এপ্রিল (হি.স.) : বন্ধুদের সাথে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এক নাবালকের। খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা ও মহকুমা দুর্যোগ মোকাবিলা সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন এবং সাগর দীঘিতে তাঁকে খুঁজতে নামেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সাগর দীঘি থেকে তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে।দমকল কর্মীরা তাঁকে ওই নাবালককে করে অমরপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
জনৈক দমকলকর্মী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুর আনুমানিক ১২ টা নাগাদ অমরপুর মোটর স্ট্যান্ড সংলগ্ন টাউন শঙ্কর পল্লীর বাসিন্দা শঙ্কর দেবনাথের পুত্র দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া চয়ন দেবনাথ (১৬) বন্ধুদের সাথে ফটিক সাগর দিঘিতে স্নান করতে গিয়েছিল। ওই দিঘিতে থাকা একটি পরিত্যক্ত প্যাডেল বোটে বন্ধুদের সাথে চয়নও চড়েছিল। কিন্তু সেই বোট উল্টে গেলে তাঁরা জলে পড়ে যায়। চয়ন সাতার জানত না। তাই, বন্ধুরা তাকে জল থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। তাঁরা তখন চিৎকার শুরু করে। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় মানুষ ছুটে এসে দীঘিতে নেমে চয়নকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকলকর্মী ও মহকুমা দুর্যোগ মোকাবিলা টিমের সদস্যরা। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর দীঘির জল থেকে চয়নের দেহ উদ্ধার হয়েছে। দমকল কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে অমরপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু, হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা দেন। সাথে তিনি জানান, চয়নের পিতা শঙ্কর দেবনাথ কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরু থাকেন। ওই মর্মান্তিক মৃত্যুতে টাউন শঙ্কর পল্লী সহ অমরপুর মোটর স্ট্যান্ড এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।