হাফলং (অসম), ১৯ এপ্রিল (হি.স.) : বৃষ্টি না হলে হাফলং শহরে জল সরবরাহ করা প্রায় অসম্ভব। জানিয়ে দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের কার্যনির্বাহী অভিযন্তা সত্যব্রত নাথ।
আজ বুধবার জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের ডিভিশনাল কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে কার্যনির্বাহী অভিযন্তা সত্যব্রত নাথ বলেন, হাফলং জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে। অনাবৃষ্টির দরুন জলাশয় ও জলের তিনটি উৎসস্থল শুকিয়ে যাওয়ায় হাফলং শহরে জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের হাফলং ট্রিটম্যান্ট প্ল্যান্টে জল আসছে না। যার দরুন হাফলং শহরে নিয়মিত জল সরবরাহ করতে ব্যর্থ হচ্ছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ।
তিনি বলেন, বর্তমানে দুটি গ্র্যাভেটি লাইন দিয়ে শুধু জল সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে। তবে তা-ও পর্যাপ্ত নয়। এই দুটি গ্র্যাভেটি লাইনের সাহায্যে শুধু হাফলং সরকারি হাসপাতাল, কাউন্সিল কলোনি ও হাফলং সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রী নিবাসে জল সরবরাহ করতে হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এই দুটি গ্র্যাভেটি লাইন থেকে মাত্র আট লক্ষ লিটার জল জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের ট্রিটম্যান্ট প্ল্যান্টে তোলা সম্ভব হচ্ছে, তা-ও নিয়মিত নয়। তাই বৃষ্টি না হলে হাফলং শহরে নিয়মিত জল সরবরাহ করা সম্ভব হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন সত্যব্রত নাথ। বলেন, যার দরুন হাফলং শহরের নাগরিকদের এখন বৃষ্টির জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা ছাড়া আর কিছু করার নেই।
এদিকে হাফলং শহরে জলের জন্য হাহাকার পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে হাফলং শহরে তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড গরমে অবস্থা নাজেহাল করে তুলেছে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়। হাফলং শহরে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৩৩ ডিগ্রি থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এপ্রিলের এই মাঝামাঝি সময়ে আগে কখনও এত গরম অনুভব হয়নি। তাই আগামী জুন-জুলাইয়ে কী অবস্থা হবে, তা নিয়ে এখন থেকেই শঙ্কিত হয়ে পাহাড়বাসী।

