নাগরাকাটা, ১৮ এপ্রিল (হি. স.) : জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার সুলকাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খয়েরবাড়ি গ্রামে হাতির হামলায় গুরুতর জখম ষাটোর্ধ এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে ওই গ্রাম লাগোয়া গুরুংখাস এলাকায়। বর্তমানে সামসুল হক জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন বলে জানা গিয়েছে। দলছুট হাতির হামলায় এলাকার ললিত ছেত্রী নামে এক ব্যক্তির রান্নাঘরও ধূলিসাৎ হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, আর পাঁচটা দিনের মতো এদিন সামসুল সহ আরও কয়েকজন প্রাতর্ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। যে এলাকায় হামলার ঘটনাটি ঘটে সেটি টানাটানি নামে একটি নদী লাগোয়া। হাতিটি এলাকার বাঁশঝাড়ের আড়ালে ছিল। ফলে কেউই বুনোটির অস্তিত্ব সম্পর্কে ঠাওর করে উঠতে পারেনি। হেঁটে কাছাকাছি আসতেই নাগালের মধ্যে পেয়ে সামসুলকে শুঁড় দিয়ে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় বেপরোয়া হাতি। তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যরা কোনওক্রমে দৌঁড়ে পালিয়ে নিজেদের জীবন রক্ষা করেন। এরপর ঢুকে পড়ে পাশের ললিত ছেত্রীর বাড়ি। দুরমুশ করে পরিবারটির রান্নাঘর। সেসময় খুব কাছেই ছিলেন খয়েরবাড়ির আমিনুল হুসেন নামে এক যুবক। তিনি বলেন, ‘সবে রমজানের সেহরাই সেরে বাড়ির বাইরে এসেছি। এমন সময় কাছেই থাকা হাতিটির চিৎকার শুনতে পাই। সেসময়ই সামসুলের ওপর সেটি হামলা চালায়। এরপর ললিত ছেত্রীদের বাড়িতে ঢোকে।’
সামসুল জখম হবার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়। আসেন বন দপ্তরের বন্যপ্রাণ শাখার খুনিয়া রেঞ্জের কর্মীরাও।