গ্যাংস্টার আতিকের খুনে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, রাতেই শীর্ষকর্তাদের বাড়িতে তলব, জারি ১৪৪ ধারা

লখনউ, ১৬ এপ্রিল(হি.স.) : পুলিশি হেফাজতে খুন গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আশরফ। শনিবার উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে পুলিশের সামনেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালানো হয় খুন, অপহরণ সহ ১০০টিরও বেশি মামলায় অভিযুক্ত আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাইয়ের উপরে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুজনের। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শনিবারই রাতে তিনি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন। বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য তিন সদস্যদের একটি দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্য়দিকে, আতিক আহমেদের হত্যাকাণ্ডের পরই থমথমে পরিবেশ গোটা উত্তর প্রদেশ জুড়ে। কোনওভাবে অশান্তি যাতে না ছড়ায়, তার জন্য় রাজ্যের ৭৫টি জেলাতেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্পূর্ণ ফিল্মি কায়দায় পুলিশের সামনে খুন হয় গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আশরফ। দুইদিন আগেই আতিকের ছেলে আসাদকেও এনকাউন্টারে খতম করে পুলিশ। শনিবার আসাদের শেষকৃত্য় ছিল। সেখানে যেতেও চেয়েছিলেন আতিক, জেলাশাসকের কাছে চেয়েছিলেন অনুমতি। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ প্রয়াগরাজের মেডিক্যাল কলেজে রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য নিয়ে আসা হয় আতিক ও আশরফকে। প্রিজন ভ্যান থেকে নামতেই তাঁদের ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। এই সাংবাদিকদের ভিড়েই লুকিয়ে ছিল আততায়ীরাও। আতিক যখন দাঁড়িয়ে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন, সেই সময়ই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁর মাথায় গুলি চালানো হয়। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আতিক। এরপরও কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয় আতিক ও তাঁর ভাই আশরফের উপরে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুইজনের।