গরু পাচার থেকে শিক্ষক নিয়োগ, একের পর এক দুর্নীতির নিয়ে মমতা বন্দ্যপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ অমিত শাহের

সিউড়ি, ১৪ এপ্রিল (হি.স.) : দুর্নীতি ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়াকে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সিউড়ির সভা থেকে চাকরি দুর্নীতির পাশাপাশি গরু পাচার নিয়ে মুখ খুললেন অমিত শাহ। তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুক্রবার সিউড়ির জনসভায় প্রথমবার শাহের মুখে শোনা গেন নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ। প্রত্যয়ীভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো যা পারেন করে নিন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই লড়াই রুখবে না।

চাকরি দুর্নীতি নিয়ে প্রায় একবছর ধরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ বহু। তাঁদের জেরা করেই একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসছে তদন্তকারীদের। বিভিন্নভাবে নাম জড়াচ্ছে তৃণমূল নেতাদের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেটাকেই হাতিয়ার করতে চাইছে বিরোধীরা। শুক্রবার সিউড়ির সভা থেকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েই শাসকদলকে তুলোধোনা করলেন অমিত শাহ।

এদিন তিনি বলেন, ‘বাংলার যুবা জবাব চায়, আপনি চাকরিতে নিয়োগে এত দুর্নীতি করেছেন যে ইডিকে ২ ট্রাক ভরে টাকা নিয়ে যেতে হয়েছে। ২১ – ২১ কোটি টাকা এর মন্ত্রীর বাড়ি থেকে পাওয়া যায়? লজ্জা লজ্জা তৃণমূল! এগুলো বাংলার গরিব যুবাদের টাকা। বাংলা যুবাদের চাকরিতে দুর্নীতি করে নিজের বাংলো বানাচ্ছো? আর মোদীজি জেলে পাঠালে বলে অত্যাচার হয়েছে। কারও ঘর থেকে ২১ কোটি টাকা পাওয়া গেলে তাকে কি জেলে পাঠানো উচিত নয়? আরে মমতা দিদি, আপনি আর আপনার ভাইপো যা পারেন করে নিন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই লড়াই রুখবে না। দুর্নীতি শেষ করে থামব। চাকরি পাওয়া বাংলার যুবকদের অধিকার। আপনি সেটা নিয়ে দুর্নীতি করতে পারেন না’।
এরপরই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে বলেই হুঙ্কার ছাড়লেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, “চাকরির নামে বাংলার যুবকদের সঙ্গে অন্যায় মেনে নেওয়া হবে না। আপনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আর ভাইপো যা পারেন করুন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে।” পাশাপাশি এদিন গরুপাচার ইস্যুতেও সরব হন । গরুপাচার মামলায় জড়িত সন্দেহে ধত অনুব্রত মণ্ডল কেন এখনও জেলা সভাপতি পদে রয়েছেন, তা নিয়ে এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন অমিত শাহ।
সেইসঙ্গে মমতাকে শাহের খোঁচা, ‘আপনি এত বছর মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, বাংলার মানুষের জন্য কী করেছেন? মোদীজি গত আড়াই বছর ধরে বাংলার মানুষকে মাসে ৫ কেজি করে চাল দিচ্ছেন। আপনি সেই বস্তার ওপর নিজের নামের স্টিকার লাগাচ্ছেন। তাও যদি বুঝতাম আরও ৫ কেজি চাল দিয়ে স্টিকার লাগাচ্ছেন। তাহলে বাংলার মানুষ মাথা পিছু আরও ৫ কেজি চাল বেশি পেতেন।’