এনএফ রেলওয়ের গুয়াহাটিতে ছিলেন সর্বানন্দ, ডিমাপুরে রামেশ্বর এবং শিলিগুড়িতে নিশিথ প্রামাণিক
গুয়াহাটি, ১৩ এপ্রিল (হি.স.) : ভিডিও কনফারেন্সিঙের মাধ্যমে জাতীয় রোজগার মেলায় বিভিন্ন সরকারি বিভাগ ও সংস্থায় নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে প্রায় ৭১ হাজার চাকরি-প্রার্থীকে নিয়োগপত্র বিতরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এ উপলক্ষে আজ নয়াদিল্লি থেকে ভার্চুয়াল ভাষণও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সমগ্র দেশ থেকে নির্বাচিত নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা ভারত সরকারের অধীনে বিভিন্ন মন্ত্রকে বিভিন্ন পোস্টে যোগদান করবেন। নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা কর্মযোগী প্রারম্ভ-এর মাধ্যমে নিজেদের প্রশিক্ষিত করার সুযোগ লাভ করবেন, যা বিভিন্ন সরকারি বিভাগে সমস্ত নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের জন্য একটি অনলাইন ওরিয়েন্টেশন কোর্স। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় রোজগার মেলার সাথে দেশের ৪৫টি স্থান সংযুক্ত হয়েছিল।
জন-সমাবেশে ভাষণ প্রদানের সময় প্রধানমন্ত্রী বৈশাখী উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন। নিয়োগপত্র লাভের জন্য প্রার্থী ও তাঁদের পরিবারবর্গকে অভিনন্দন জানান তিনি। উন্নত ভারতের সংকল্প অর্জনের উদ্দেশ্যে যুব সমাজের প্রতিভা ও শক্তির জন্য উপযুক্ত সুযোগ প্রদানে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে কর্তৃক উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চতুর্থ ‘রোজগার মেলা’ অসমের গুয়াহাটি, পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি এবং নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গুয়াহাটির মালিগাঁওয়ে গুয়াহাটির সাংসদ কুইন ওজা ও বরিষ্ঠ রেলওয়ে আধিকারিকদের উপস্থিতিতে নব্য চাকরি-প্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন কেন্দ্রীয় বন্দর, নৌ-পরিবহণ ও জলপথ এবং আয়ুষ মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল। পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক এবং শ্রম ও নিয়োগ দফতরে প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি ডিমাপুরে প্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র, ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশিথ প্রামাণিক শিলিগুড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রার্থীদের মধ্যে নিয়োগপত্র বিতরণ করেন।
বিভিন্ন বিভাগে ৭১ হাজারের বেশি নিয়োগপত্র অর্ডারের মধ্যে ৫০ হাজারের বেশি রেলওয়ের, যেখানে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়েতে ২,৮৯০ জনকে নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়।
গুয়াহাটির অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত তরুণদের অভিনন্দন জানিয়ে আত্মনির্ভর ভারত গড়তে তাঁদের নিষ্ঠার সাথে কঠোর পরিশ্রম করার আহ্বান জানান। এছাড়া রোজগার মেলা আয়োজনের জন্য উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়েকে তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
নিয়োগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূরণ করার একটি পদক্ষেপ এই রোজগার মেলা। রোজগার মেলা আরও নিয়োগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে এবং যুব সমাজের ক্ষমতায়ন ও তাঁদের জাতীয় উন্নয়নে অংশগ্রহণের জন্য অর্থবহ সুযোগ প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে।