জয়পুর , ৭ এপ্রিল (হি.স.): রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক ডঃ মোহন ভাগবত সমাজের সকল স্তরকে দৃঢ় সংকল্পের সাথে সেবা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সেবার চেতনার সঙ্গে করুণার সম্পর্ক রয়েছে। সমগ্র দেশ যখন নিখুঁত এবং সুস্থ থাকবে, তখনই কেবল ভারত বিশ্বনেতা হয়ে উঠবে। জয়পুরের কাছে জামডোলির কেশব বিদ্যাপীঠে সেবাভারতীর তৃতীয় জাতীয় সেবা সংগমের উদ্বোধনে একথা বলেন সরসঙ্ঘচালক ।
তিনি বলেন, শরীরের কোনও অঙ্গ দুর্বল হলে সারা শরীর যেমন কষ্ট পায়, তেমনি দেশের কোনও সমাজ দুর্বল হলে পুরো দেশ কষ্ট পায়, পিছিয়ে পড়ে। তিনি বলেন, একমাত্র সেবার মনোভাবই এই ঘাটতি দূর করতে পারে। ডক্টর ভাগবত বলেন এই কাজটি আমাদের করতে হবে কারণ এই সমাজ আমাদের নিজস্ব। দেশের কোনও অংশকে দুর্বল, পশ্চাৎপদ ও নিম্নস্তরে থাকতে দেওয়া উচিত নয়।
ডঃ ভাগবত বলেন, সেবার চেতনা সহানুভূতির সাথে যুক্ত। এই অনুভূতি দ্রুত উদ্ভূত হয়। সেবা ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতির গুণ। মানুষের কাছে মানুষের সাধারণ অভিব্যক্তি। সেবা একটি প্রতিযোগিতা নয়, আজ, সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে, কৃতি বিশ্বস্তরে আলোচিত হচ্ছে।
সঙ্ঘ প্রধান ছাড়াও উদ্বোধনী অধিবেশনে পিরামল গ্রুপ মুম্বইয়ের সভাপতি অজয় পিরামল, শিল্পপতি নরসেরাম কুলারিয়া, জাতীয় সাধক বালযোগী উমেশ নাথ মহারাজ প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন। এ সময় পিরামল সাধু রহিমের কথোপকথন উদ্ধৃত করে বলেন, তরুবর ফল খায় না, সরোবর পান করে না। কোথাও রহিমের আগ্রহ কাজ, সম্পদ সঞ্চয় সুজন। পিরামল ফাউন্ডেশনে এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করে চলেছে।
তিনি বলেন, ফাউন্ডেশন জনজাতি এলাকায় স্বাস্থ্যের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেছে। নিষাদরাজ ও মাতা শবরীর ঘটনার উল্লেখ করে জাতীয় সাধক বালযোগী উমেশ নাথ মহারাজ বলেন, ভগবান রাম সেই সময় সামাজিক সম্প্রীতির শিক্ষা দিয়েছিলেন।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অখিল ভারতীয় সহ-সেবা প্রমুখ রাজকুমার মাটালে বলেছেন যে নানাজি দেশমুখ একটি মন্ত্র দিয়েছিলেন, আপনার প্রিয়জনের জন্য বাঁচুন, নিজের জন্য নয়। যেখানে সঙ্গম আছে সেখানে আধ্যাত্মিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। এসময় অতিথিরা ‘সেবা সাধনা’ পত্রিকার আবরণ উন্মোচন করেন। এই পত্রিকার থিম রাখা হয়েছে ‘স্বনির্ভর ভারত’। স্বাগত কমিটির সভাপতি হিসেবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিল্পপতি নরসিরাম কুলারিয়া।
সেবা সংগমে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরকারীবাহ দত্তাত্রেয় হোসবলে, সর্বভারতীয় কার্যনির্বাহী সদস্য সুরেশ ভাইয়াজী যোশী, সহ-সরকার্যবাহ মুকুন্দ সিআর, বিশ্বগুরু মহামণ্ডলেশ্বর পরমহংস স্বামী মহেশ্বরানন্দ, বিশ্ব জাগৃতি মিশনের প্রতিষ্ঠাতা আচার্য সুধাংশু মহারাজ, সাংসদ রাজসমন্দ দিয়া কুমারী, শিল্পপতি অশোক বগলা প্রমুখ ।

