আগরতলা, ৩ এপ্রিল (হি. স.) : দেশে শক্তি ক্ষেত্রে বিপ্লবে সামিল হতে চলেছে ত্রিপুরাও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেখানো পথে গ্রীন হাইড্রোজেন উত্পাদনের চিন্তাভাবনা শুরু করবে ত্রিপুরা সরকারও। মূলত, বাঁশ থেকে গ্রীন হাইড্রোজেন উত্পাদনে আজ জি-২০ সামিটে আলোচনা হয়েছে। তাই, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মিললেই ত্রিপুরাও গ্রীন হাইড্রোজেন উত্পাদনে পা বাড়াবে। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা:) মানিক সাহা।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় আজ থেকে জি-২০ সামিট শুরু হয়েছে। প্রায় ১৫০ প্রতিনিধি আজকের সামিটে অংশগ্রহণ করেছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে দেশে জি-২০ সামিটের সূচনা হয়েছে। ভারতীয় সংস্কৃতির বার্তা ওই সামিটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া চেষ্টা চলছে।
তাঁর কথায়, ছয়টি থিমের উপর ভিত্তি করে ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে জি-২০ সামিট শুরু হয়েছে। এবছর ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সামিট চলবে। তিনি জানান, জি-২০ সামিটের অন্তর্গত সারা দেশে ৫৬টি স্থানে ২০০টি মিটিং এবং সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। ত্রিপুরাও ওই সামিটে অংশীদারের সৌভাগ্য হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, ত্রিপুরায় ক্লিন এনার্জি ফর এ গ্রীনার ফিউচার থিমের উপর ভিত্তি করে সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ওই থিমের উপর আলোচনা হবে।
তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় বাঁশ ব্যবহার করে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে ভিয়েতনাম ত্রিপুরার জন্য মডেল হতে পারে, সেই আলোচনাও হয়েছে। তাঁর দাবি, ভিয়েতনাম থেকে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য ত্রিপুরার মুখ্য সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাতে, বাঁশ ভিত্তিক অর্থনীতি ত্রিপুরায় গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
সাথে তিনি যোগ করেন, ত্রিপুরায় গ্রীন হাইড্রোজেন উত্পাদনেও জোর দেওয়া হবে। সামিটে সেই আলোচনা গুরুত্ব পেয়েছে। তাঁর কথায়, গ্যাস ভিত্তিক এবং সৌর বিদ্যুৎ ত্রিপুরায় উত্পাদিত হচ্ছে। বায়ু ভিত্তিক বিদ্যুৎ উত্পাদন ত্রিপুরায় সম্ভব নয়। কিন্তু, বাঁশ ব্যবহারে গ্রীন হাইড্রোজেন উত্পাদনের সম্ভাবনা প্রচুর, সে বিষয়ে পৃথক আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালি হওয়ার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় গ্রীন হাইড্রোজেন পলিসি এনেছে। বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ফলে, ত্রিপুরাও শক্তি ক্ষেত্রে বিপ্লবে অংশীদার হওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় ১০৭ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদিত হচ্ছে। তাতে, ১০ মেগা ওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উত্পাদিত হচ্ছে। এখন গ্রীন হাইড্রোজেন উত্পাদনের মধ্য দিয়ে ত্রিপুরার অর্থনৈতিক প্রগতির লক্ষ্য নেওয়া হবে।
তাঁর কথায়, ৩০ নভেম্বরের পর কেন্দ্রের নির্দেশ মিললে গ্রীন হাইড্রোজেন নিয়ে পদক্ষেপ নেবে ত্রিপুরা সরকার। তাতে, ২০২২ সালের শেষে কিংবা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে ত্রিপুরা বৈপ্লবিক যাত্রায় অগ্রসরে চিন্তাভাবনা করবে, বলেন তিনি।
2023-04-03

