নয়াদিল্লি, ৩০ মার্চ (হি. স.) : চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই রাজধানী দিল্লিতে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। । বুধবার করোনায় দুই রোগীর মৃত্যুর পর শুক্রবার বিকেলে তড়িঘড়ি করে আধিকারিকদের জরুরি বৈঠক ডেকেছে দিল্লি সরকার।
এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজকে নির্দেশ দিয়েছেন, বিশেষ সচিব, স্বাস্থ্য দফতর, মহাপরিচালক স্বাস্থ্য পরিষেবা (ডিজিএইচএস), অক্সিজেন ও পরীক্ষার জন্য নোডাল অফিসার এবং লোকনায়ক সহ দিল্লি সরকারের বৃহত্তম হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর এবং অন্যান্য হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টরদেরও উপস্থিত থাকতে হবে। ..
বৈঠকে আলোচনা বিষয় হল, করোনার সংক্রমণ দ্রুত বাড়লে সেই পরিস্থিতি মোকাবেলায় দিল্লি সরকারের হাসপাতালগুলি কতটা প্রস্তুত। বর্তমানে, সরকার করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য দিল্লির বেসরকারি ও সরকারি হাসপাতালে মোট ৭৯৮৬টি শয্যা সংরক্ষিত করেছে। যার মধ্যে বর্তমানে মাত্র ৫৪টি শয্যা করোনা রোগীর জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। এছাড়াও, কোভিড কেয়ার সেন্টারে ৭৫টি শয্যা এবং করোনা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১১৮টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট, আইসিইউ বেড এবং ভেন্টিলেটরের যথাযথ ব্যবস্থা রাখতে হাসপাতালগুলোকে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে হঠাৎ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ হিসাবে বিশেষজ্ঞরা করোনার নতুন এক্সবিবি.১.১৬ ভ্যারিয়েন্ট-কেই দায়ী করেছেন। তবে এখনই নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শই দেওয়া হয়েছে।
তবে শুধু করোনার প্রকোপই নয়, গোঁদের উপরে বিষফোঁড়ার মতো দিল্লিতে ক্রমশ বেড়েই চলেছে এইচ৩এন২ ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণও। করোনার মতোই একই উপসর্গ থাকায় অনেক সময় রোগ নির্ণয়েও সমস্যা হচ্ছে। দুই ক্ষেত্রেই জ্বর, সর্দিকাশিই প্রধান উপসর্গ। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের তরফে জানানো হয়েছে, এইচ৩এন২ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে অন্যান্য় ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণের থেকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার তুলনামূলকভাবে বেশি। জ্বর, সর্দি, একটানা কাশির মতো উপসর্গ থাকলেই পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।