আগরতলা, ১৮ মার্চ (হি. স.) : এবছর বইমেলায় ১৭৬টি বইয়ের স্টল থাকবে। তার মধ্যে আজ অনলাইন লটারির মাধ্যমে ১৩১টি স্টল বন্টন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ৪১তম আগরতলা বইমেলা হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে ২৪ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
আজ বইমেলায় স্টল বণ্টনে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে অনলাইন লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। লটারিতে ৬৩টি বড়, ৪৫টি মাঝারি এবং ২৩টি ছোট অর্থাৎ মোট ১৩১টি স্টল বণ্টন করা হয়েছে। এই অনলাইন লটারি শুরু হওয়ার পূর্বে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস জানান, এবারের বইমেলায় ছোট, মাঝারি এবং বড় এই তিনটি আকারের বইয়ের স্টল তৈরি করা হবে। মোট ১৭৬টি বইয়ের স্টল থাকবে। ৪৫টি স্টল লটারির বাইরে থাকবে।
সাথে তিনি যোগ করেন, ত্রিপুরা সরকার বইমেলাকে আন্তর্জাতিক রূপ দেওয়ার প্রচেষ্টা করছে। চতুর্থবারের মতো হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে বইমেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ২৪ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বইমেলা চলবে। দিন দিন রাজ্য এবং বহির্রাজ্যের বই প্রকাশকদের নিকট মেলার গুরুত্ব বেড়েই চলছে। এবছরও প্রায় ১৯০টির অধিক বইয়ের স্টল খোলার জন্য আবেদনপত্র জমা পড়েছে। তিনি বইমেলার এই ১৩ দিন সমাজের প্রত্যেক স্তরের মানুষকে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান।
পরে অনলাইন লটারির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকাশকদের মধ্যে বইয়ের স্টল বণ্টন করা হয়েছে। এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা দেবাশিস দাস ও সঞ্জীব চাকমা, পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাখাল মজুমদার, অল ত্রিপুরা বুক সেলার্স অ্যান্ড পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক উত্তম চক্রবর্তী সহ পারুল লাইব্রেরি, হাভেলি, অক্ষর, সুলেখা, বুক প্যালেস, ত্রিপুরা পাবলিশার্স গিল্ড, শেফালি প্রকাশনীর প্রতিনিধিগণ।