গুয়াহাটি, ১১ মার্চ (হি.স.) : প্ৰায় একমাস আগে কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়ে আর অক্ষত বা জীবন্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরা হলো না করিমগঞ্জের জনৈক যুবকের। বেঙ্গালুরুতে সংঘটিত এক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আজ শনিবার বেলা আড়াইটা নাগাদ প্রাণ হারিয়েছে করিমগঞ্জের চরগোলা এলাকার জনৈক রামলবণ রবিদাসের বছর ১৯-এর ছেলে রিপন রবিদাস।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বড় ভাই রতন রবিদাসের সঙ্গে কাজের সন্ধানে গত ফেব্রুয়ারি মাসের দুই তারিখ বেঙ্গালুরুতে পাড়ি দিয়েছিল রিপন। কয়েকদিন পর বেসরকারি একটি কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে যোগদান করেছিল সে। সব কিছু ঠিকঠাক ছিল। গত সাত মার্চ রাত আনুমানিক দশটায় ডিউটি সেরে সড়কের ফুটপত ধরে পায়ে হেঁটে বাসায় ফেরার পথে হঠাৎ করে তাঁকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে কেএ ১৯ এমএল ৯৭৫৩ নম্বরের একটি হোন্ডাই গাড়ি। ধাক্কা খেয়ে ফুটপাত থেকে রাস্তায় পড়ে গুরুতরভাবে আহত হয় রিপন।উপস্থিতরা তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে স্থানীয় ইউনিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আইসিইউতে নিতে ভরতি করা হয়। কিন্তু টানা চারদিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে আজ শনিবার বেলা ২.৩০ মিনিট নাগাদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে রিপন রবিদাস।
মৃত রিপনের বড় ভাই রতন বেঙ্গালুরু থেকে হিন্দুস্থান সমাচার-কে জানান, ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ এসে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িকে বাজেয়াপ্ত করেছে। কিন্তু তাঁরা খুব অসহায় বোধ করছেন। বেঙ্গালুরু শহরে তাঁরা এই কয়েকমাস আগে গিয়েছেন। এমতাবস্থায় সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারাতে হয় ছোট ভাইকে। এখন কী করবেন, কীভাবে বাড়ি পৌঁছবেন, সেই দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তাঁরা। নিরুপায় হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ বরাক উপত্যকার তিন জেলার বিধায়কদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন দুর্ঘটনায় নিহত রিপন রবিদাসের ভাই রতন রবিদাস।