কলকাতা, ১০ মার্চ (হি স)। শুক্রবার একাধিক বাম সংগঠনের ছাত্র ধর্মঘটের ডাক উপেক্ষা করে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক কাজ হয়েছে। বিপরীত ছবিও দেখা গিয়েছে নানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য সদ্য ঘোষিত হয়েছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই নয়া উপাচার্যরা গত দু’দিনে দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের শূন্য আসন এখনও পূরণ হয়নি। এ নিয়ে সেখানে নানা সমস্যা-জটিলতা দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও কর্মীদের একাংশ এ নিয়ে ক্ষুব্ধ। সেখানে মিছিলও হয়েছে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে। এর মধ্যে শুক্রবার বাম সংগঠন ধর্মঘট সফল করার চেষ্টা করলে তাদের পাল্টা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল ছাত্রপরিষদ। তারপরই ডিএসও-তৃণমূল হাতাহাতি হয়। সূত্রের খবর, এ দিন সেখানে অল্প কিছু ক্লাশ হলেও নানা কারণে পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল।
পশ্চিম মেদিনীপুরে মেদিনীপুর কলেজের সামনে ছাত্র ধর্মঘটের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে তুমুল বচসা-হাতাহাতি হয়েছে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জমায়েত হয়েছিলেন ডিএসওর সদস্য এবং সমর্থকেরা। অভিযোগ, কলেজের গেটের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দেওয়ার সময় তাঁদের বাধা দেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যেরা।
কিছু স্কুলেও অশান্তির খবর মিলেছে। উত্তর ২৪ পরগনায় বারাসতের সন্তোষ ভট্টাচার্য মেমোরিয়াল হাইস্কুলেও অশান্তি হয়েছে। সেখানকার প্রধান শিক্ষক জানালেন, প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষকশিক্ষিকা আসেননি স্কুলে। প্রত্যেক শ্রেনিকক্ষই ছিল বন্ধ, দরজায় তালা। ডি এ এবং আনুষঙ্গিক কিছু দাবী নিয়ে ধর্মঘটের জেরে বন্ধ রাখা হয় মাথাভাঙার ছবিরনেছা স্কুল। শিক্ষকদের ফোন করে স্কুলে ডাকে তৃণমূলের নেতারা। দু’পক্ষের তর্কাতর্কি শুরু হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতির সামাল দেয়। দেরিতে স্কুল খোলে।