বাঁকুড়া, ৫ মার্চ (হি. স.) রবিবার ভোরে লরির ধাক্কায় পথ দুর্ঘটনায় এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মেজিয়া শিল্পাঞ্চলের গঙ্গাজলঘাটি থানার ধবনী এলাকায়। এই ঘটনায় ঘাতক গাড়িটিকে চিহ্নিত করে মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া দাবি তুলে গঙ্গাজলঘাঁটিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা ।
ঘটনার পর স্থানীয় ৩-৪ টি গ্রামের বাসিন্দারা দুর্ঘটনাস্থলে এসে বাঁকুড়া – রানীগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। একসময় তা চরম আকার নিলে গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু উত্তেজিত জনতা পুলিশের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন। ঘটনা স্থলে আসেন মৃতেরই গ্রামের বাসিন্দা তথা স্থানীয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চিত্তরঞ্জন মাজি । তিনি আসার পর উত্তেজিত মানুষেরা শান্ত হন।
চিত্তরঞ্জন মাজি বলেন, ধবনী গ্ৰামের বাসিন্দা শ্যামাপদ মাজি (৪৫) পেশায় মাছ ব্যবসায়ী । প্রতিদিন ভোর ৪ টের সময় উঠে বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে জাতীয় সড়ক ধরে দুর্লভপুর মোড়ে বাস ধরে কোনওদিন বড়জোড়া বা কোনওদিন গঙ্গাজলঘাটির মাছের আড়ৎ থেকে মাছ কিনে এনে বিক্রি করে। এদিনও তিনি সাইকেলে করে বাস ধরার জন্য যাচ্ছিলেন। মেজিয়া দিক থেকে আসা কোনও লরি বা ডাম্পার তার সাইকেলের পিছনে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। অত্যন্ত দুস্থ পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন তিনিই। অবরোধকারিদের দাবি মেজিয়া বিদ্যুৎ প্রকল্পে ছাই পরিবহন ও একটি সিমেন্ট পরিবহন কারি সংস্থা দুর্লভপুর ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কোনো ডাম্পার বা লরিতে শ্যামাপদ মাঝি কে ধাক্কা মেরে পালিয়েছে। এই এলাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে তবু চালকদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না পুলিশ প্রশাসন। আর যাতে কেউ অকালে চলে না যান সেকারনেই আমাদের এই প্রতিবাদ। তাদের দাবি ঘাতক গাড়িটিকে চিহ্নিত করে মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।
গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ জানিয়েছে দুর্লভপুর মোড়ের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গাড়িটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে। ক্ষতিপূরণের আশ্বাস পেয়ে সকাল সাড়ে ৭ টা নাগাদ অবরোধ ওঠে।

