লাম্পি ভাইরাস : বরাক উপত্যকা সহ অসমের পাঁচ জেলায় আক্রান্ত শতাধিক গবাদি পশু, সরকারের সাহায্য যাচ্ঞা গোপালকদের

গুয়াহাটি, ৪ মার্চ (হি.স.) : অসমে ফের হামলা চালিয়েছে লাম্পি ভাইরাস। লাম্পি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ইতিমধ্যে রাজ্যের শতাধিক গবাদি পশু আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গবাদি পশুদের মারণ এই চর্মরোগের দ্রুত সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সরকারের সাহায্য চেয়েছেন উদ্বিগ্ন গোপালকরা।

রাজ্যের পশুপালন ও ভেটেরিনারি দফতর সূত্রে জানা গেছে, লাম্পি ভাইরাস স্কিন ডিজিজ (এলএসডি)-এর প্রদুর্ভাব দক্ষিণ অসমের বরাক উপত্যকার কাছাড়, হাইলাকান্দি ও করিমগঞ্জ, কামরূপ গ্রামীণ এবং বরপেটা জেলায় সবচেয়ে বেশি দেখা দিয়েছে।

লাম্পি ভাইরাস-এর মতো চর্মরোগটি প্রথম ২০১৯ সালের আগস্টে ওড়িশার চারটি জেলা ময়ূরভাং, বালাসোর, ভদ্রক, কেন্দ্রপাড়া এবং কটকে আবিষ্কৃত হয়েছিল। এর পর এই সংক্রমণ উত্তর-পূর্ব সহ রাজস্থান, গুজরাতেও ছড়িয়ে পড়ে। রাজস্থানে চার হাজারেরও বেশি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছিল। আক্রান্ত হয়েছিল ৯৪ হাজারেরও বেশি গবাদি পশু। এছাড়া একাধিক জেলায় এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে গত বছরের জুলাই-আগস্টে। সবচেয়ে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছিল রাজস্থানের ১৬টি জেলায়। এছাড়া গুজরাটের কচ্ছ, সৌরাষ্ট্র, উত্তর গুজরাট এবং দক্ষিণ গুজরাট অঞ্চলের ১৪টি জেলায় ছড়িয়ে পড়ে এই সংক্রমণ।

তবে উদ্বেগের বিষয়, ওই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে নির্দিষ্ট কোনও ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক বের হয়নি। তাই সমস্যা বাড়ছে পশু চিকিৎসায়। সূত্রটি বলেছে, লাম্পি ভাইরাস কেবল গবাদি পশু নয়, অন্য প্রজাতির পশুর মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পশুপালন দফতরের আরও খবর, শেষবার কোভিট-১৯ সংকটকালে অসমে লাম্পি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রায় ১৭ হাজারের বেশি গৃহপালিত শূকরকে মেরে ফেলা হয়েছিল।

এদিকে অসমে শত শত গবাদি পশু লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় গোপালকরা সরকারের কাছে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে সীমাহীন সংখ্যক গবাদি পশুর মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *