গুয়াহাটি, ১৫ জানুয়ারি (হি.স.) : ভোগালি বিহুর দিন পরম্পরাগত মেজিতে অগ্নিসংযোগ করে অসম তথা উত্তর-পূর্বাঞ্চল সহ গোটা দেশের সর্বস্তরের মানুষের মঙ্গল কামনা করেছেন কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল।
আজ রবিবার গুয়াহাটিতে নিজের বাড়িতে প্রাতঃকালে ভোগালি বিহুর মেজি প্রজ্বলনের মাধ্যমে অগ্নিদেবতাকে স্মরণ করে দেশবাসীকে মকর সংক্রান্তির শুভেচ্ছা জানিয়ে সকলের মঙ্গল কামনা করেছেন কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ। এর পর সাংবাদিক, সতীৰ্থ এবং আমন্ত্রিত বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে একসঙ্গে ভোগালির সামূহিক জলপান করেন তিনি।
ভারতবর্ষের সর্বস্তরের কৃষকদের এই শুভক্ষণে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল বলেন, মাঘ বিহুর এই উৎসব সরাসরি কৃষকদের সঙ্গে সম্পর্কিত। তিনি বলেন, প্ৰকৃতি এবং মাটির সম্পৰ্ক আমাদের নবপ্ৰজন্মকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এদিন সকালে মেজি জ্বালিয়ে আবেগিক সৰ্বানন্দ বলেন, বাল্যকালে আমরা মাঠে ভেলাঘর তৈরি করে কয়েকরাত কাটিয়েছি। নিকটবর্তী মানুষজনের ঘর থেকে কাউকে কিছু না জানিয়ে চুরি করে আলু কচু ইত্যাদি এনে রান্না করে খেতাম।
গঙ্গা বিলাস প্রসঙ্গে মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল বলেন, ‘গঙ্গা বিলাস আমাদের কাছে সুবৰ্ণ সুযোগ। গঙ্গা এবং ব্ৰহ্মপুত্ৰের সংযোগ সম্ভব হয়েছে কেবলমাত্র প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদীর জন্য। তাই তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ভারতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কেবল পাঁচটি জলপথ ছিল। এখন এর সংখ্যা ১০৮টায় বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, এই ব্যবস্থায় নদী তীরবর্তী জনসাধারণ উপকৃত হবেন। জলপথে যাতায়াত করলে খরচও কমে। সঙ্গে এই যাত্ৰা প্ৰদূষণমুক্ত হয় এবং দুৰ্ঘটনার ভয়ও থাকে না। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ নেপাল, ভুটানও উপকৃত হবে।
প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদী সম্পর্কে সর্বানন্দ বলেন, ‘নরেন্দ্ৰ মোদীর নেতৃত্বে ভারতের জনগণ গত ৮ বছরে বহু উপকৃত হয়েছেন। আঞ্চলিক, জাতীয় বা আন্তৰ্জাতিক স্তরে নরেন্দ্ৰ মোদীর নীতি বলে উপকৃত করেছে। ভারতের জনসাধারণের বিশ্বাসভাজন, আদৰ্শবাদী এবং প্রীতিভাজন নেতা নরেন্দ্র মোদী। তৃতীয়বারের জন্য মোদীই হবে প্ৰধানমন্ত্ৰী, এতে কোনও সন্দেহ নেই।’
এদিকে আজ বহু কৰ্মব্যস্ততার মধ্যে ভোগালি বিহু পালনের অঙ্গস্বরূপ কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী যান টিহুর হারিভাঙায় কলিয়া গোঁসাই মন্দিরে। সেখানে পুজো দিয়ে অনুষ্ঠিত ধৰ্মসভায় অংশগ্রহণ করেন সৰ্বানন্দ। কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰীকে ঢোল খোল পুষ্পবৃষ্টির মাধ্যমে স্বাগত জানান হারিভাঙা গ্রামোন্নয়ন সমিতির কর্মকর্তা এবং সদস্যরা।