শিলচর (অসম), ১৫ জানুয়ারি (হি.স.) : কাছাড় জেলার কাবুগঞ্জ এসবিআই শাখা প্রবন্ধকের রহস্যজনক ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতেই ফের জেলা সদর শিলচরের অম্বিকাপট্টিতে করিমগঞ্জ কলেজের এক ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করেছে ময়না তদন্তের জন্য শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েটে রাঙ্গিরখাড়ি পুলিশ। ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা, এ নিয়ে ধন্ধে পুলিশ। এতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে।
জানা গেছে, উদ্ধারকৃত মৃত যুবক অভিজিৎ রায় (২৪) করিমগঞ্জ কলেজের বিএসসি সিক্সথ সেমিস্টারের ছাত্র। মূলত করিমগঞ্জ শহরে অবস্থিত চরবাজার এলাকার বাসিন্দা হলেও শিলচরের অম্বিকাপট্টি দুর্গাশঙ্কর পাঠশালার বিপরীতে লক্ষ্মীকান্ত আবাসনে জ্যেঠুর বাসায় থাকত অভিজিৎ। শিলচর থেকেই করিমগঞ্জে আসা-যাওয়া করে কলেজে পড়ত সে।
প্রাপ্ত খবরে প্রাকাশ, গতকাল শনিবার রাত পর্যন্ত অভিজিৎ স্বাভাবিক ছিল। সবকিছু ঠিকঠাক। কিন্তু আজ রবিবার সকালে দেয়ালে সাঁটা হ্যাঙ্গারের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস জড়ানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার হয়। জ্যেঠুর বাড়ির সদস্যরা জানান, আজ সকালে কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় অভিজিতের মৃতদেহ।
এদিকে, দেওয়াল-হ্যাঙ্গারের সঙ্গে রশি বেঁধে কীভাবে আত্মহত্যা করা যায় এ-নিয়ে হাজারো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অভিজিতের মৃত্যুকে রহস্যজনক আখ্যা দিলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ এ ব্যাপারে মুখ খুলেনি।
অভিজিৎ রায়ের এক ভাই অমিত রায় জানান, সকালে তারা এই খবর জেনে ছুটে এসেছেন শিলচরে জ্যেঠুর আবাসনে। তিনি জানান, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে রাঙ্গিরখাড়ি পুলিশ লাশ করে ময়না তদন্তের জন্য শিলচর মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে।
পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিক জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ঘটনাটি হত্যা না-আত্মহত্যা, তা বোঝা যাচ্ছে না। প্রাথমিক এনকুয়েস্ট হলেও ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর তদন্তে গতি আনা হবে, জানান পুলিশ অফিসার।

