মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রকল্প চালু করেন, পরে মোদীজী সেই প্রকল্প করেন : শত্রুঘ্ন সিনহা

বাঁকুড়া, ১৪ জানুয়ারি (হি. স.) : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রকল্প চালু করেন মোদীজী পরে তা চালু করেন। শনিবার বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই মন্তব্য করেন বলিউডের জনপ্রিয় নায়ক ও আসানসোলের সাংসদ শত্রঘ্ন সিনহা।

শুক্রবার বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের নাম ধরে ধরে ভুরি ভুরি অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তার পাল্টা হিসাবে সেই একই জায়গায় আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাকে দিয়ে জনসভা করালো তৃণমূল কংগ্রেস । কিন্তু শত্রুঘ্ন সিনহা বিজেপি কোনো নেতাকে ব্যক্তিগত আক্রমণের পথে তো গেলেনই না বরং দীলিপ ঘোষের প্রশংসাই করলেন এক প্রকার। সাংবাদিকরা যখন তাকে প্রশ্ন করেন দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে জেলায় জেলায় তৃণমূল নেতা মন্ত্রীরা বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন । তখন তিনি বলেন সে তো আমিও বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলাম এক জায়গায়। সেটাই তো তৃণমূলের স্বাধীনতা।

দক্ষিণ ২৪ পরগণার মন্ত্রী রথীন ঘোষের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়ে এক অভিযোগকারি তৃনমূলের হাতে চড় খেলেন, কি বলবেন এবিষয়ে? শত্রুঘ্ন সাংবাদিকদের সে সব প্রশ্ন এড়িয়ে বলেন, সেটা আমি জানি না। তোমরা প্রসঙ্গের বাইরে কেন যাচ্ছো। তাকে প্রশ্ন করা হয় বিজেপি নেতা দীলিপ ঘোষ বলেছেন, শত্রুঘ্ন সিনহা একজন ভদ্রলোক, তার বিরুদ্ধে কোনও দোষ নেই, তাই তৃণমূল তাকে কাজে লাগাতে চাইছে। জবাবে শত্রুঘ্ন বলেন, আমি কারো বিরুদ্ধাচারন করব সেটা আমার স্টাইল নয়। আজও তো আমি কারো বিরুদ্ধে বলিনি। । দীলিপবাবুকেও আমি ভালোবাসি। বিজেপি আমার প্রথম পরিবার। তাই কোনো বিরোধী নেতার সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। তবে এদিন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়োসী প্রশংসা করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই এই বাংলায় সারা দেশের মানুষের সহাবস্থান। তিনি বলেন, মমতা ব্যনার্জী যে সব প্রকল্প চালু করেছেন মোদিজী পরে পরে তা করছেন। কেন্দ্রের আয়ূষ্মান ভারত প্রসঙ্গে বলেন, ২০১৮ সালে মোদিজী আয়ূষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করে অথচ তার ৩ বছর আগেই মমতাজী স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প চালু করেছেন। কন্যাশ্রী প্রকল্পের উল্লেখ করে তিনি বলেন গ্রাম হল শহরের জননী। তাই গ্রামকে শক্তিশালী করতে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে হবে। বড়জোড়ার বিধায়ক অলক মুখার্জিকে এখানের হিরো বলে সম্বোধন করে তিনি বলেন, তাঁর হাতকে শক্তিশালী করতে পারলে মমতাজীর হাত শক্ত হবে। তিনি ফের আসবেন বলে বড়জোড়া বাসিকে কথাও দেন। তার সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক ও জ্যোৎস্না মান্ডি।

শত্রুঘ্ন সিনহা শুভেন্দু ও সৌমিত্র খাঁয়ের কথার কোনো জবাব না দিলেও, বড়জোড়ার নেতারা তার জবাব দিয়েছেন কড়া ভাষাতেই। শুভেন্দু তৃনমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুখেন বিদের নাম করে বলেছিলেন, সুখেন হলেন ভাইপোর এজেন্ট ।ব্লক সভাপতি কালিদাস মুখার্জি ভুঁইফোড় সংস্থার মালিক। বিধায়ক অলক মুখার্জি চোর । এর জবাব দিয়েছেন নেতারা। সুখেন বিদ বলেন, আমি স্বীকার করছি আমি এজেন্ট। আমি বড়জোড়ার মানুষের এজেন্ট, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজেন্ট। এই মাঠ তৈরি, বড়জোড়া সব্জি মার্কেট তৈরির এজেন্ট। সর্বোপরি মানুষকে রক্ষা করার এজেন্ট।