ত্রিপুরায় গেরুয়া বন্ধু আইপিএফটি-কে কাছে পেতে চিঠি পাঠালেন তিপরা মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত

আগরতলা, ১৩ জানুয়ারি(হি. স.) : ত্রিপুরায় গেরুয়া বন্ধু আইপিএফটি-কে কাছে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিপরা মথার সুপ্রিমো তথা এমডিসি প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ। আজ তিনি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য রাজ্যে শাসক জোট শরিক আইপিএফটি-কে চিঠি দিয়েছেন। তাতে, তিনি বেঁচে থাকার জন্য এবং অস্তিত্ব রক্ষায় এই পদক্ষেপ খুবই জরুরী বলে দাবি করেছেন।

তিনি চিঠিতে লেখেন, ভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২, ৩ এবং ৪-র অধীনে এডিসি এলাকায় পৃথক রাজ্য(তিপরাল্যান্ড) গঠনের জন্য ২০০৯ সাল থেকে আইপিএফটি আন্দোলন জারি রেখেছে। তিপরা মথাও একইভাবে গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবি তুলেছে। তিনি মনে করেন, জনজাতিদের বেঁচে থাকা এবং অস্তিত্ব রক্ষায় সময়ের প্রয়োজনে এই দাবির যথেষ্ট যৌক্তিকতা রয়েছে এবং আমাদের এই দাবি পূরণের লড়াইকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

তাঁর বক্তব্য, তিপরাল্যান্ড এবং গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবির মধ্যে খুব বেশি মৌলিক পার্থক্য নেই। উভয়ই ত্রিপুরার জনজাতিদের জন্য স্থায়ী সাংবিধানিক সমাধান চাইছে। তাই, ওই দাবিকে বাঁচিয়ে রাখতেই হবে, আবেদন করেন তিনি।

তাঁর দাবি, ত্রিপুরে বিভিন্ন রাজনৈতিক লোভনীয় পদ কিংবা অর্থের মোহ দেখিয়ে আমাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা চালাবে। কিন্তু, জনজাতিদের স্বার্থে আমাদের ওই দাবি থেকে সরে আসা উচিত হবে না। জনজাতিদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি চিঠিতে লেখেন, একজোট হয়ে জনজাতিদের জন্য লড়াইয়ে সামিল হই। তাতে, দাবি আদায় সম্ভব হবে। জনজাতিদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করা যাবে। এক্ষেত্রে দলের ভবিষ্যত থেকে জনজাতিদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

তাই তিনি আইপিএফটি-কে প্রস্তাব দেন, বেঁচে থাকার জন্য এবং অস্তিত্ব রক্ষায় চলুন ঐক্যবদ্ধ হই। আইপিএফটি এবং তিপরা মথা মিলিতভাবে তিপরাল্যান্ড অথবা গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের জন্য আওয়াজ তুলি। আজ প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ আইপিএফটি-র সাধারণ সম্পাদক অঘোর দেববর্মার হাতে ওই চিঠি তুলে দিয়েছেন। তবে, এ-বিষয়ে আইপিএফটি এখনোই কোন মন্তব্য করতে চাইছে না।

প্রসঙ্গত, এন সি দেববর্মা প্রয়াত হওয়ার পর বিধায়ক প্রেম কুমার রিয়াং দলের রাশ নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। গত ৭ জানুয়ারি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শীঘ্রই তাঁদের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক পুণরায় হবে। ওই বৈঠকে বিজেপির সাথে আলোচনার বিষয়ে রণনীতি চূড়ান্ত করবে নেতৃবৃন্দ।