ঢাকা, ১১ জানুয়ারি (হি স)। ‘যুক্তরাষ্ট্রেও যে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সৈয়দ ফয়সালের হত্যাকাণ্ড।’ এই মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশের ও তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ডঃ হাছান মাহমুদ। মা-বাবার একমাত্র সন্তান সৈয়দ ফয়সাল আরিফ। পড়াশোনা করতেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস আমহার্স্টের বোস্টন ক্যাম্পাসে। গত বুধবার পুলিশ তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। তার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ বাড়ছে।
ঢাকার কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে মৃত্যুকে অত্যন্ত অনভিপ্রেত, দুঃখজনক ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। আমি পুলিশের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি ছাত্রের আত্মার ‘মাগফিরাত’ (শান্তি) কামনা করি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করেছে, তদন্ত চলছে।“
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘‘আশা করি, যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যাঁরা এ ঘটনার জন্য দোষী, তাঁদের বিচার হবে। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। আমাদের দেশে মানবাধিকার যাতে লঙ্ঘিত না হয়, কেউ লঙ্ঘন না করে, সেদিকে আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি। বিশ্বময় কোথাও যেন মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয়, সেটিও আমরা চাই।’’
ফয়সালের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দাতমারা ইউনিয়নে। ২০১৫ সালে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যান তিনি। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে বলে জানান ফয়সালের বাবা মোহম্মদ মুজিব উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের কোনো খারাপ অভ্যাস ছিল না। এমনকি আমাদের পরিবারের কেউ কোনো অপরাধে জড়ায়নি কখনো। দেশেও আমাদের পরিবারের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। ছেলেকে গুলি করে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’
কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়াশোনা করা ছেলেকে নিয়ে মা-বাবা আর স্বজনদের স্বপ্ন ছিল অনেক। কিন্তু পুলিশের গুলিতে ছেলে নিহত হয়ে সব শেষ হয়ে যায়। একমাত্র সন্তান হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চান পরিবার। এটিকে পুলিশি হত্যাকাণ্ড দাবি করে বিচার চান প্রবাসী বাংলাদেশিরা।