আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্ততি পর্যালোচনায় ১৩-১৫ জানুয়ারি নাগাল্যান্ড সফরে আসছে ভারতের নির্বাচন কমিশন

সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স-এর ৫০ কোম্পানি নাগাল্যান্ডে পৌঁছেছে, আরও আসছে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে সহায়তা করতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান সিইও-এর

কোহিমা, ১১ জানুয়ারি (হি.স.) : আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্ততি পর্যালোচনা করতে আগামী ১৩ জানুয়ারি নাগাল্যান্ড সফরে আসছে ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের নেতৃত্বে এক দল। থাকবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। দলের সদস্যরা রাজ্যের নির্বাচন আধিকারিক, রাজ্যের সাধারণ ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে তিনদিন নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করবেন।

নাগাল্যান্ডের প্রধান নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) ভি শশাঙ্ক শেখর এই খবর জানিয়ে বলেন, ইতিমধ্যে তিনি ইসিআই-এর সফরের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছেন। সিইও শশাঙ্ক শেখর জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের নেতৃত্বে ১৬-সদস্যের নির্বাচন কমিশনের দল ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত নাগাল্যান্ডে অবস্থান করবেন। তাঁরা রাজ্যের পুলিশ-প্রধান, মুখ্যসচিব সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিক, সমস্ত জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় এনফোর্সমেন্ট এবং সংশ্লিষ্ট সংগঠন, স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচনী প্রস্তুতি এবং বিধি-নিষেধ সম্পর্কে পর্যালোচনা করবেন।

সিইও ভি শশাঙ্ক শেখর আরও জানান, কমিশন ইতিমধ্যেই সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স (সিএপিএফ)-এর ৫০ কোম্পানিকে নির্বাচনী দায়িত্ব দিযে নাগাল্যান্ডে পাঠিয়েছে। অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী এখনও রাস্তায়, খুব শীঘ্রই তারাও রাজ্যে এসে পৌঁছে যাবে। তিনি জানান, রাজ্যস্তরে গত কয়েক মাস ধরে নির্বাচন সম্পর্কে ব্যাপক প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ চলছে। অন্যদিকে, ভি শশাঙ্ক শেখর সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং নির্দলয়ীয় সহ অন্যান্যদের তথ্যের উপর নির্ভর করে সতর্কতার সঙ্গে প্রচারাভিযান চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন, আমরা নির্বাচনের কাছাকাছি এসে গেছি। এই সময়টা খুবই সংবেদনশীল। কেননা কখনও কখনও ভুয়ো তথ্য সহকারে গুজব ছড়ানোর একটা প্রবণতা থাকে।

তাই যে কোনও অপ্রত্যাশিত সহিংসতা এবং কোনও পুনর্নির্বাচন ছাড়াই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকলকে একত্রিত হতে রাজ্যের সমস্ত নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সিইও শশাঙ্ক শেখর। তাঁর আশা, অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করতে সরকারি প্রশাসন, কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য এনফোর্সমেন্ট সংস্থাগুলিকে সহায়তা করবেন নাগরিককুল।