পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের বীভৎসতা ত্রিপুরায় মনে করালেন শুভেন্দু অধিকারী

আগরতলা, ১০ জানুয়ারী(হি. স.) : পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের বীভৎসতা দেখেছি। ত্রিপুরার মানুষও সিপিএমের রাজত্বে সেই অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। তাঁদের একটি বুথেও মাথা তুলতে দেবেন না। আজ মঙ্গলবার সিপাহিজলা জেলায় চড়িলামে জনবিশ্বাস যাত্রা উপলক্ষ্যে আয়োজিত জনসভায় অংশ নিয়ে এভাবেই ত্রিপুরবাসী-কে সতর্ক করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি আজ ত্রিপুরার মানুষের কাছে স্মৃতির পাতা উল্টে পশ্চিমবঙ্গে বাম জমানায় নন্দীগ্রাম, মরিচঝাপি, নানুড়-র নর হত্যার কাহিনী মনে করিয়েছেন। তাঁর আবেদন, ওই সিপিএম-কে ত্রিপুরায় সুযোগ দেবেন না।

এদিন তিনি বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকে সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। সিপিএমের বীভৎসতা দেখেছি। ত্রিপুরার মানুষেরও বাম জমানার কালো দিনের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁর দাবি, সিপিএম নিজের দল ছাড়া কিছুই বোঝে না। রাজনৈতিক রঙ বিচার না করে কোন কাজ করে না। তাই, লাল পার্টিকে দেখা যাচ্ছে না। হয়তো গর্তে লুকিয়ে রয়েছে, বিদ্রুপের সুরে বলেন তিনি।

শুভেন্দুর বক্তব্য, ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের একটি বুথেও মাথা তুলতে দেবেন না। তাঁর কটাক্ষ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী-কে ডাইনি এবং কংগ্রেস-কে বুর্জোয়া দল বলত সিপিএম। অথচ, পশ্চিমবঙ্গে সেই কংগ্রেসের সাথে জোট বেঁধেছে সিপিএম। তাই, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ওই দুই দল নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তাঁর পরামর্শ, কংগ্রেস-সিপিএমের সুবিধাবাদ ও বুর্জোয়া জোট থেকে সাবধানে থাকবেন। ত্রিপুরায় পাঁচ বছরে উন্নয়নের আগামী পাঁচ বছরে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বিজেপি।

তাঁর দাবি, সারা দেশে পরিবারবাদ, জাতপাত এবং তোষণের রাজনীতি খতম করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার বদলে শৌচালয়, স্বচ্ছ ভারত, বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার, আবাস যোজনায় ঘর, কিষাণ সম্মান নিধি এবং প্রতি ঘরে জল পৌছে দিয়েছেন তিনি। তিনি আওয়াজ তুলেন, ত্রিপুরায় আবারও ডাবল ইঞ্জিনের সরকারই দরকার।