শান্তিরবাজার(ত্রিপুরা), ৪ জানুয়ারি (হি. স.) : বহু প্রতীক্ষিত ফেনী নদীর উপর নির্মিত মৈত্রী সেতু দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। দিল্লি ও ঢাকা সবুজ সংকেত দিলেই দুই দেশের মধ্যে যাত্রীদের যাতায়াত শুরু হয়ে যাবে। সেই লক্ষ্যে আজ দুই দেশের ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির আধিকারিকগণ মৈত্রী সেতু পরিদর্শন এবং যাবতীয় পরিকাঠামো নিয়ে বৈঠক করেছেন।
সম্প্রতি রাজ্যসভায় মৈত্রী সেতু চালু করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তার পরিণাম নজরে আসতে চলেছে বলেই মনে হচ্ছে। কারণ আজ বুধবার সাব্রুমে ফেনী নদীর উপর নির্মিত মৈত্রী সেতু পরিদর্শনে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকগণ এসেছিলেন।
এদিন ভারত ও বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের মধ্যে ফেনী নদীর উপর নির্মিত মৈত্রী সেতু চালু করার জন্য এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পক্ষ থেকে ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্রা, প্রজেক্ট ডাইরেক্টর গিতেশ দীপ সিং, এলপিএআই অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার কাবির সিং, আগরতলায় এলপিএআই ম্যানেজার দেবাশীষ নন্দী, কাস্টমসের চিফ কমিশনার যোগানদার গার্গ, সাব্রুমের বিধায়ক শঙ্কর রায়, বিএসএফের ৯৬ ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডেন্ট লালা কৃষ্ণ কুমার লাল সহ একাধিক উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকগণ।
অন্যদিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রাজীভ রঞ্জন, ল্যান্ড পোর্টের এডিশনাল ডাইরেক্টর এমডি রাজু আহমেদ, হাফিজুল্লা রহমান ও বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে নিজাম উল্লাহ রহমান সহ অন্যান্য উচ্চ পদস্থ আধিকারিকগণ।
এদিন বেলা দুইটা নাগাদ সাব্রুমের ফেনী নদীর উপর নির্মিত মৈত্রী সেতুতে দু’দেশের আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক শেষে বিকাল তিনটা নাগাদ দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকদের প্রতিনিধি দলটি যৌথভাবে বাংলাদেশের সীমান্তে গিয়ে সেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যাত্রী পারাপারের জন্য চেকপোষ্টে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেন। ভারতের দিকেও যাত্রী পারাপারের কি কি সুবিধা রয়েছে সেগুলি পর্যবেক্ষণ করেন।
ভারতের ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্রা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, দু’দেশের সরকারের আলোচনার মধ্যে দিয়ে খুব দ্রুত ফেনী নদীর উপর নির্মিত মৈত্রী সেতু দিয়ে আপাতত যাত্রী পরিষেবা চালু করা হবে। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ধরনের মাল পারাপারের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গেলে পর্যায়ক্রমে সেগুলিও চালু করা হবে।এ-বিষয়ে সাব্রুমের বিধায়ক শঙ্কর রায় বলেন, দুই দেশ মৈত্রী সেতু দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। দুই দেশের ল্যান্ড কাস্টম তৈরি হয়ে গেছে। এখন দিল্লি ও ঢাকা সবুজ সংকেত দিলেই দুই দেশের মানুষ ওই সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন।