সীমান্তে অপরাধ এবং অনুপ্রবেশের দায়ে এক বছরে ৫৯ জন রোহিঙ্গা, ১৬০ জন ভারতীয় এবং ১৫০ জন বাংলাদেশী-কে বিএসএফ আটক : বিএসএফ

আগরতলা, ৩ জানুয়ারি (হি. স.) : সীমান্তে অপরাধ এবং অনুপ্রবেশের দায়ে এক বছরে ৫৯ জন রোহিঙ্গা, ১৬০ জন ভারতীয় এবং ১৫০ জন বাংলাদেশী-কে বিএসএফ আটক করেছে। এছাড়া, অসাবধানতাবসত সীমান্ত অতিক্রমের ফলে ধৃত ১১ জন বাংলাদেশীকে মানবিকতার খাতিরে বিজিবি-র হাতে তুলে দিয়েছে। তাঁরা দীর্ঘ সময় পর দেশে স্বজনদের কাছে ফিরে গেছেন। এক বছরের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে এসমস্ত বিষয় জানিয়েছেন বিএসএফ ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক।

তাঁর দাবি, ২০২২ সালে ত্রিপুরায় বিএসএফ দক্ষতার সাথে সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। ইন্দো-বাংলা সীমান্তে পাহাড়া দেওয়ার সময় পাচারকারীদের সাথে মোকাবিলা এবং অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকানো, বিএসএফ সবই কঠোর হাতে সামলেছে। তিনি বলেন, বিএসএফ সীমান্তে অত্যন্ত উচ্চ স্তরের নজরদারি এবং সতর্কতা অবলম্বনের ফলে পাচারকারীরা পাচার বাণিজ্য চালাতে অনেকাংশেই ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, বিএসএফ সীমান্ত দিয়ে পাচারের সময় ১৮১৩টি গবাদি পশু উদ্ধার করেছে। শুধু তাই নয়, ৬৬,৬০৮টি ফেন্সিডিলের বোতল, ১৮৬৮৫ কেজি গাঁজা, ১,১৪,৬৫৮টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ৮৬.২৫২ গ্রাম স্বর্ণ, ১০০ গ্রাম রূপা, ১৫১৩.৩৮ গ্রাম ব্রাউন সুগার, বাংলাদেশী মুদ্রায় ৪৮,৩৫,৭৫৩ টাকা এবং ৫৮ কোটি ৩৪ লক্ষ ৭৫ হাজার ৬১৮ টাকা মূল্যের অন্যান্য পণ্য সামগ্রী পাচারের সময় উদ্ধার করেছে।  

বিএসএফ ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানান, ত্রিপুরায় ইন্দো-বাংলা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ এবং অপরাধের দায়ে ৫৯ জ রোহিঙ্গা, ১৬০ জন ভারতীয় এবং ১৫০ জন বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে অসাবধানতাবসত সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ধৃত ১১ জন বাংলাদেশী নাগরিককে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

সাথে তিনি যোগ করেন, ২০২২ সালে দুই দেশের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিএসএফ এবং বিজিবির আইজি স্তরের আধিকারিকদের দুইবার বৈঠক করেছে। ওই বৈঠকে, উগ্রপন্থী গতিবিধি, সীমান্ত অপরাধ, অনুপ্রবেশ, অসমাপ্ত পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা গুরুত্ব পেয়েছে। শুধু তাই নয়, দুই দেশের মানুষের মধ্যে বৃহত্তর সমন্বয় এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগরতলা থেকে কলকাতা ভায়া বাংলাদেশ সাইকেল রেলি অনুষ্ঠিত হয়েছে, বলেন তিনি।