আগরতলা, ২৯ ডিসেম্বর (হি. স.) : ত্রিপুরায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতারণার দলিল পেশ করে ভোটারদের কাছে একবারের জন্য সুযোগ চেয়েছে কংগ্রেস। ওই দলিলে করোনাকালে প্রয়াতদের পরিবারকে ত্রিপুরা সরকারের পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা থেকে শুরু করে প্রাক-নির্বাচনী বহু প্রতিশ্রুতির প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে। এদিন জনসভা শুরু হওয়ার আগে কংগ্রেস আগরতলা শহরে বিশাল মিছিল করেছে। এদিনের জনসভায় প্রাক্তন বিধায়ক দিবাচন্দ্র রাঙ্খল ও বাধারঘাট কেন্দ্রের বিধায়ক প্রয়াত দিলীপ সরকারের ভাই রাজ কুমার সরকার কংগ্রেসের যোগ দিয়েছেন।
সমাবেশে ভাষণে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ বলেন, “কংগ্রেসই একমাত্র দল যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে। আমাদের নেতা রাহুল গান্ধী এখনও রাজপথে রয়েছেন। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির বিভেদমূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করছেন। সুদীপের কটাক্ষ, আজ বিজেপি নিজেদেরকে সর্বকালের সবচেয়ে বড় দেশপ্রেমিক বলে দাবি করেন। তাহলে, তাদের ইতিহাস পড়ে দেখুন। আপনি দেখতে পাবেন, তাদের সমস্ত নেতা শাস্তির মেয়াদ কমানোর জন্য ব্রিটিশদের কাছে লিখিত আকারে করুণার আবেদন করেছেন।
এদিন তিনি দলের কর্মীদের কাছে আহবান জানান, কংগ্রেসের আদর্শ তৃণমূল স্তর পর্যন্ত নিয়ে যান। তাঁর কথায়, এই দলিল আমরা এখানে বিজেপির প্রতারণামূলক রাজনীতির প্রমাণ হিসেবে প্রকাশ করেছি।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এসে গেছে। আগামী ৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১১ জানুয়ারি ভারতের নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ভোটের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতে ত্রিপুরায় আসবেন। তারা হয়তো ১২ জানুয়ারী সর্বদলীয় বৈঠক ডাকবেন। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
তাঁর কথায়, সিপিএমের ২৫ বছর এবং বিজেপির পাঁচ বছর দেখেছেন। এখন একটিবারের জন্য কংগ্রেসকে সুযোগ দিয়ে দেখুন। আমরা মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। সাথে তিনি জানান, নির্বাচনী প্রচারে ত্রিপুরায় আসবেন প্রিয়াংকা গান্ধী।এদিন রাজ্যে এআইসিসি ইনচার্জ ডঃ অজয় কুমার বলেন, ত্রিপুরার সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দেশ এক কঠিন সময় পার করছে যখন সারাদেশে ঘৃণার রাজনীতি কায়েম রয়েছে। এটা বন্ধ করা দরকার।

