ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের যৌথ বিবৃতি : দুর্বলতার পরিচয়, বললেন উপমুখ্যমন্ত্রী, প্রত্যাশিত ছিল, দাবি তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রীর

আগরতলা, ২৭ ডিসেম্বর (হি. স.) : ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের যৌথ বিবৃতিতে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তবে, তাঁরা ওই বিবৃতির মাধ্যমে দুর্বলতার পরিচয় দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ত্রিপুরা উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা। অবশ্য, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর কাছে যৌথ মঞ্চের ওই বিবৃতি অপ্রত্যাশিত নয়। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, তাঁদের রাজনৈতিক বোঝাপড়া আরও বাড়বে বলে দাবি করেন তিনি।

ত্রিপুরায় অরাজক পরিস্থিতি কায়েম হয়েছে অভিযোগ এনে শান্তিপ্রিয় গণতান্ত্রিক নাগরিকদের এগিয়ে আসার জন্য বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের যৌথ মঞ্চ আজ আবেদন জানিয়েছে। এ-বিষয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মার কটাক্ষ, গণতন্ত্র নয়, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস এখন ত্রিপুরায় বিপন্ন। তাঁর বক্তব্য, ত্রিপুরায় কংগ্রেস বামেদের শরিক হবে তাতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। বরং এই পদক্ষেপের জন্য তাঁদের অভিনন্দন জানাই।

তাঁর দাবি, আজকের ওই যৌথ বিবৃতি দিয়ে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস দুর্বলতার পরিচয় দিয়েছে। অবশ্য, এতদিন তাঁদের আঁতাত লুকিয়েছিল। এখন সেই সম্পর্ক প্রকাশ্যে এসেছে। মানুষ কখনোই তা গ্রহণ করবেন না, জোর গলায় বলেন তিনি।

উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাম আমলে হাজার হাজার কংগ্রেস কর্মী অত্যাচারিত হয়েছেন। মানুষ এখনো সেই অতীত ভুলে যাননি। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গেও বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের মধ্যে নির্বাচনী বোঝাপড়া হয়েছে। মানুষ তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। ত্রিপুরায় তাঁরা বিজেপির সাথে একা লড়াই করে জিততে পারবে না, তাই বামেদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়বে।

তাঁর দাবি, বিজেপি ত্রিপুরায় দলের একক শক্তিতে নির্বাচনে জয় হাসিল করবে। যতই বিরোধীদের জোট হোক, বিজেপি একাই জিতবে। সাথে তিনি তিপরা মথা-কে একহাত নিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের সাথে সহমত পোষণ করার বদলে গণমুক্তি পরিষদে মিশে যাক তিপরা মথা। এডিসি-তে ক্ষমতায় এসেছে বছর দুয়েক হয়ে আসছে। অথচ, মানুষের সামনে সাফল্য তুলে ধরতে ব্যর্থ তিপরা মথা।

এদিকে, বাম-কংগ্রেস যৌথ মঞ্চের বিবৃতি নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের নির্বাচনী বোঝাপড়া প্রত্যাশিত ছিল। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক আরও গাঢ় হবে। তবে, ত্রিপুরার মানুষ তাঁদের সময়মতো উচিত শিক্ষা দেবেন, বলেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী। তাঁর কথায়, ত্রিপুরা শান্তিপূর্ণ রাজ্য। বাম আমলের অরাজকতা মানুষ ভুলে যাননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *