স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠল ভন্ড সাধু স্বামীর বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ ডিসেম্বর৷৷  স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার রোমহর্ষক অভিয়োগ এক ভন্ড সাধুর বিরুদ্ধে৷ ঘটনা আমতলী থানাধীন উত্তম ভক্ত চৌমুহনী এলাকায়৷  স্ত্রীকে প্রথমে নিখোঁজ এর কাহিনী তৈরী করে পরিবার সহ এলাকাবাসীর চোখে নাটক মঞ্চস্থ করে সাধুরূপী স্বামী৷  চলতি বছরের মার্চ মাসের ৫ তারিখ থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় উত্তম ভক্ত চৌমুহনী এলাকার অপূর্ব বর্ধনের স্ত্রী স্বপ্ণা দে৷ তারপর থেকেই নাটক মঞ্চস্থ করতে থাকে স্বামী অপূর্ব বর্ধন৷ নিজের শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে খোঁজাখুঁজির নাটক শুরু করে ভন্ড সাধু স্বামী৷ তারই মধ্যে নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর জঙ্গল থেকে উদ্বার হয় আগুনে ঝলসে যাওয়া একজনের মৃতদেহ৷ কিন্তু সেই মৃতদেহটি নিজের স্ত্রীর মানতে অস্বীকার করে স্বামী৷ আমতলী থানার পুলিশকে তখন বাধ্য হয়ে করতে হয় মৃতদেহটির ডিএনএ টেস্ট৷ বেশ কিছুদিন পর রিপোর্ট থেকে প্রমাণ হয় মৃতদেহটি অপূর্বের স্ত্রীর৷ অভিযোগ তারপরই শুরু হয় আমতলী পুলিশের সঙ্গে সাধুরুপী স্বামী অপূর্বের লোকচুরি খেলা৷ সাধু বেশে পেশায় গাঁজা ব্যবসায়ী অপূর্বের সঙ্গে আমতলী পুলিশের নরম ফরোয়ার্ডিং এর কারণে হত্যার বেশ কয়েকমাস বাদে অপূর্বকে আমতলী থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও ৫ দিনের মধ্যে জামিন পেয়ে যায় ভন্ড সাধু৷ মৃতার পরিবার তারপর থেকে সঠিক বিচার চাইতে শুরু করে৷ এক্ষেত্রে সঠিক তদন্তের দাবী তুলছে মৃতার বাবার বাড়ীর সদস্যরা৷ বৃদ্বা মা থেকে শুরু করে ভাই সহ সকলের দাবী আমতলী পুলিশ পুনরায় সঠিক তদন্ত করুক৷ এগিয়ে আসুক রাজ্য মহিলা কমিশন৷ দাবী উঠছে ভন্ড বেশী অপূর্ব বর্ধনের চরম সাজার৷