নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ ডিসেম্বর৷৷ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে বরাদ্দ কোটি কোটি টাকার হরির লুট চলছে ছামনু বিধানসভা কেন্দ্রে৷ এনএইচআইডিসিএল এর তত্ত্বাবধানে অনেকগুলো রাস্তার কাজই চলছে এই বিধানসভা কেন্দ্র৷ অথচ কাজের গুণগত মান যে কত নিম্ন তা সরজমিনে প্রত্যক্ষ করলেই স্পষ্ট বুঝা যায়৷ এলাকায় কান পাতলেই শোনা যায় শাসকদলীয় নেতা, তদারকি দপ্তরের কর্তা ও সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদারের ত্রয়ী সঙ্গমেই এই কেলেঙ্কারি জোরকদমে চলছে৷ ফলে তদন্তের কোন বালাই নেই৷ এমনই একটি কয়েক কোটি টাকার রাস্তার কাজ চলছে ছামনু বিধামসভা কেন্দ্রের লালছড়া হইতে লালডিঙ্গা তইয়া চন্দ্র পাড়৷ দূটি প্যাকেজে কাজটি হচ্ছে৷ প্রথম প্যাকেজের বরাত পায় কলকাতার এক নির্মান সংস্থা৷ দ্বিতীয়টির বরাত পায় রাজিব প্রসাদ নামে এক ঠিকাদার৷ কিন্তু কাকতালীয়ভাবে কোন এক অদৃশ্য কারনবশত কলকাতার নির্মান সংস্থা কাজটি রাজীব প্রসাদকে ছেড়ে দেয়৷ জানা গেছে রাস্তা নির্মানের শুরু থেকেই দূর্নীতির আশ্রয় নেয় ঠিকাদারবাবু৷ মেটেলিং করতে গিয়ে ফাস্টক্লাস কংক্রিটের জায়গায় থার্ডক্লাস কংক্রিট ব্যবহার হচ্ছে৷ তাছাড়া অনুপাত অনুযায়ী কংক্রিট না দিয়ে শুধু আশপাশ থেকে আনা লালমাটি দিয়েই কাজ খতম৷ রাস্তা যতটুকু চওড়া হওয়ার কথা তাও হচ্ছে না৷ কিছুদিন আগেই ডলুছড়ার সানীয় বাসিন্দারা নিম্নমানের রাস্তা নির্মান নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করে৷ সুত্রের খবর সানীয় বিধায়কের এক খাস নেতা দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছেই প্রতিবাদকারীদের প্রতি হম্বিতম্বি শুরু করে৷ শাসকদলের রক্তচক্ষুর সামনে প্রতিবাদ চুপসে যায়৷ সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর বিষয় নির্মীয়মান এই রাস্তায় আগে আরডি দপ্তরের ইটসলিং রাস্তা ছিল৷ জানাগেছে আরডি দপ্তরের তৈরি রাস্তার ইট তুলে কংক্রিট করে একি রাস্তায় ব্যবহার করা হয়েছে৷ অজ্ঞাত কারণবশত সব জেনেশুনেও ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকায় মনু আরডি ডিভিশন৷ নিন্দুকেরা বলে নগদনারায়ণের দৌলতে ছামনু বিধানসভার কেন্দ্রের বিধায়কের ছত্রছায়ায় রয়েছেন এই ঠিকাদারবাবু৷ ফলে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এমন বুকের পাটা কজনের আছে৷ তাছাড়া বিধায়কবাবুর আশীর্বাদধন্য হয়ে গোপন নিগোর দৌলতে লংতরাইভ্যালী মহকুমার প্রায় সব কাজেরই বরাত পেয়েছেন উল্লেখিত ঠিকাদার রাজীব প্রসাদ ও তার ভাই সঞ্জীব প্রসাদ বলে খবর৷ এখানে উল্লেখ করলে আপদমস্তস্ক বামমার্গী এই দুই ঠিকাদার রাজ্যে পরিবর্তনের পরই নিজ এলাকা অমরপুর থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল৷ টাকার দৌলতে নাকি রাতারাতি গেরুয়াবসন পরে লংতরাইভ্যালীতেই আস্তানা গেড়েছে৷ বর্তমানে ছামনু বিনায়কের খাস ঠিকাদার হিসাবেই চিহ্ণিত৷ তবে এলাকাবাসীর দাবী প্রসাশনের সচ্ছনীতি বজায় রেখে লালছড়া থেকে লালডিঙ্গা তইয়াচন্দ্র পাড়া পর্যন্ত নির্মিয়মান রাস্তাটির সরজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক সংশ্লিষ্ট দপ্তর৷ অন্যতায় বিধানসভার নির্বাচনে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷
2022-12-26

