আগরতলা, ২৩ ডিসেম্বর (হি. স.) : অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ত্রিপুরায় এনফোর্সমেন্ট সংস্থাগুলি ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। মাত্র এক মাসে ৯ কোটির অধিক অর্থ আদায় করা হয়েছে। ২০১৮ সালে এক বছরে যার অর্থের পরিমাণ ছিল আড়াই কোটির অধিক।
ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিত্যে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ভারতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, কমিশন তা সর্বদা নিশ্চিত করেছে। তবে, তা নিশ্চিত করার জন্য অর্থভিত্তিক ক্ষমতার অপব্যবহার হ্রাস করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। অর্থ ও পেশি শক্তির বিপদ রোধ করার সময় ভারতের নির্বাচন কমিশন এও নিশ্চিত করেছে, সাধারণ জনগণ যাতে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না হন।
প্রকৃতপক্ষে ভোটারদের ঘুষ এবং অন্যান্য দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপ, নির্বাচনী ব্যবস্থাকে দূষিত করার হুমকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের নির্বাচন কমিশনের এই ব্যবস্থাকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়। যাতে সংবেদনশীল মানুষ এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেন।
তিনি বলেন, ত্রিপুরা বিধানসভার সাধারণ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। তাই, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী ব্যয় নিরীক্ষণের নোডাল এজেন্সিগুলিকে সক্রিয় করার জন্য সমস্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছে। গত নভেম্বর থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলিকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের আওতায় আনা হয়েছে এবং সক্রিয় করা হয়েছে।
তাঁর কথায়, প্রাথমিক প্রশিক্ষণের পর থেকে রাজ্য নোডাল অফিসার, সমস্ত সংস্থা/দপ্তরগুলি একসঙ্গে ব্যয় নিরীক্ষণ সংক্রান্ত নির্দেশিকাগুলি কঠোরভাবে প্রয়োগ করার জন্য একত্রিত হয়েছে। আয়কর, ত্রিপুরা অন্তশূল্ক, কেন্দ্রীয় জিএসটি, রাজ্য জিএসটি, ত্রিপুরা পুলিশ, বিএসএফ, নারকোটিক্স কন্ট্রোল, এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটরের মতো দপ্তরগুলি নির্বাচনী ব্যয় নিরীক্ষণে প্রধান অংশীদার হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছে।তাঁর দাবি, এনফোর্সমেন্ট এজেন্সগুলি তাদের ব্যপক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলস্বরূপ, অল্প সময়ের মধ্যে গত ২৪ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯,৩৬,৫০,৪৪৯ টাকা আদায় করা হয়েছে। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে মোট আদায়ের পরিমাণ ছিল ২,৫৭,১৯,০০০ টাকা। ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিত্যে আশ্বস্ত করেছেন, এধরনের অভিযান নির্বাচন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে এবং সমস্ত অংশীদারগণ সমভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।