আবারও রণক্ষেত্র উমাকান্ত মাঠ লালবাহাদুর বিধ্বস্ত, ফরোয়ার্ড শীর্ষে

ফরোয়ার্ড : ৪

লালবাহাদুর: ০

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ ডিসেম্বর।।আবারও রণক্ষেত্র উমাকান্ত ময়দান। শ্যামসুন্দর কোং জুয়েলার্স চন্দ্র মেমোরিয়াল লিগে ফরোয়ার্ড ক্লাব বনাম লালবাহাদুরের ম্যাচের শেষ দিকে  রনক্ষেত্রের চেহারা নিলো ময়দান।  সামান্য একটি ফাউলকে ঘিরে আচমকাই মাঠে ফ্রি স্টাইলে জড়িয়ে গেলেন দু দলের ফুটবলাররা। বেধড়ক চলে চড়, কিল,ঘুষি সঙ্গে পায়ের মার। মুহূর্তের মধ্যেই মাঠের এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মাঠের বাইরে ও। দু-‌দলের সমর্থকরা জড়িয়ে গেলেন বচসায়। ম্যাচ চার মিনিট বন্ধ রাখতে বাধ্য হলেন রেফারি তাপস দেবনাথ। ম্যাচকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে দু দলের দুইজন ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দিলেন রেফারি তাপস দেবনাথ। ফুটবলাররা হলেন ফরোয়ার্ড ক্লাবের বিদেশি চিজুবা এবং লালবাহাদুর ক্লাবের পেম্বা রাই। ম্যাচের অবশিষ্ট সময়টা দুদলই ১০ জন ফুটবলার নিয়ে খেলেন। আখেরে  কিন্তু জয় হাসিল করে নেয় ফরোয়ার্ড ক্লাব। গোল ব্যবধান ৪-০। আর ওই জয় পেয়ে গ্রুপে শীর্ষে চলে এলো সুভাষ বসু-‌র দল। ২৮ ডিসেম্বর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ফরোয়ার্ডের প্রতিপক্ষ আসরের অপর শক্তিশালী দল জুয়েলস অ্যাসোসিয়েশন। ওই ম্যাচে ফরোয়ার্ড পাবে না চিজুবা-‌কে। ফলে কিছুটা পিছিয়ে থেকেই মাঠে নামবে ওই ম্যাচে রতন কিশোর-‌রা। গোলগুলি করেন ফরওয়ার্ডের পক্ষে দুই বিদেশি ভিদাল,চিজুবা। এছাড়া দুটো গোল করেন মালেম ও সবত জমাতিয়া। গোটা ম্যাচে দর্শকদের যদি প্রাপ্তি কিছু হয় তা হলো এই চার খানা গোলই। না হলে সেই মানের ফুটবল অন্তত ফরোয়ার্ড ক্লাবেরফুটবলারদের থেকে খুঁজে পায়নি দর্শকরা। অপরদিকে লালবাহাদুরের খেলার মানও ছিলো অত্যন্ত নিম্নমানের। খোকন সাহা-‌র দলের ফুটবলাররা খেলার থেকে অধিক বেশি মনোযোগী হয়ে পড়ে বাজে ফাউল কিভাবে করা যায় সেদিকে। সুবাদে এক,দুটি নয় চারটি গোল হজম করতে হলো দলকে। লালবাহাদুরের হয়ে দু তিনজন ফুটবলার মরিয়া প্রয়াস চালায় গোল পরিশোধ করতে। তবে একটা টিম হিসেবে খেলার যে স্প্রিরিট থাকা দরকার ছিল তাই দেখা গেল না গোটা ম্যাচে। এর ফলে একের পর এক গোল হজম লালবাহাদুর। গোলের এই ঘোর শেষ পর্যন্ত কাটাতে পারলো না লালবাহাদুর ক্লাব। ম্যাচের সেরা ফুটবলার হলেন ফরোয়ার্ড ক্লাবের গোল রক্ষক অমিত জমাতিয়া।