সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের প্রহারে হতচকিত প্রতিবেশী দেশ : অনুরাগ ঠাকুর

নয়াদিল্লি, ১৯ ডিসেম্বর (হি.স.): সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক স্তরে বিশ্বের দেশগুলিকে একত্রিত করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বললেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর। পাকিস্তানকে নিশানা করে অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের কঠোর নীতির কারণেই হতচকিত প্রতিবেশী দেশ। তিনি বলেছেন, বিশ্বে ভারতের ভাবমূর্তি একটি সহায়ক দেশ হিসেবে তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, প্রতিবেশী দেশের ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে সন্ত্রাসবাদের প্রচারকারী দেশ হিসেবে।

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের নীতি প্রসঙ্গে সোমবার আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর বলেছেন, ২০১৪ সালের পর থেকে সন্ত্রাসীদের খুঁজে বার করতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে আমাদের সেনাবাহিনী। জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের ঘটনা অভূতপূর্ব হ্রাস পেয়েছে। একই সময়ে সন্ত্রাসীদের অর্থ সরবরাহকারী ব্যক্তিদের সাজা দেওয়ার হার ৯৪ শতাংশ। অনুরাগ বলেছেন, মোদী সরকারের গৃহীত পন্থা হল সন্ত্রাসের প্রতি জিরো টলারেন্স। সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ আমাদের নিশ্চিত ফলাফল দিয়েছে। আপনারা যদি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং বালাকোট স্ট্রাইক দেখেন এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে স্ট্রাইকের পরে স্ট্রাইক ২০১৪ সাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

অনুরাগ ঠাকুর আরও বলেছেন, ভারত যখন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বকে একত্রিত করছে, তখন আমাদের কিছু প্রতিবেশী দেশ সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে এবং সন্ত্রাসবাদের পক্ষে উচ্চস্বরে কথা বলছে। আন্তর্জাতিক স্তরে তাদের আসল চেহারা প্রকাশ পেয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, তাওয়াং নিয়ে আমাদের প্রশ্ন করার আগে, রাহুল গান্ধীকে অবশ্যই উত্তর দিতে হবে, ভারতীয় সেনাবাহিনী যখন ডোকলাম ইস্যুতে চিনা সেনাদের সঙ্গে লড়াই করছিল তখন তিনি কি চিনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছিলেন? তিনি কি সেই সময় আমাদের সেনাবাহিনীকে প্রশ্ন করেছিলেন? রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন কি চিনা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তহবিল নিয়েছিল?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *