BRAKING NEWS

বামে বঞ্চিত রাগনার নির্মল, রামেও জুটেনি সরকারী ঘর

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ১৭ ডিসেম্বর৷৷  ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপি শাসন কালে সকল সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে চির বঞ্চিত বিজেপি সমর্থিত এক পরিবার৷ ঘটনা উত্তর জেলার ধর্মনগর বিধানসভা কেন্দ্রের রাগনা গ্রাম পঞ্চায়েতের চার নং ওয়ার্ডে৷ পরিবারের লোকজন থেকে জানা গেছে,তারা বহু পুরনো বিজেপি দেল সমর্থিত৷ বাম আমলে অনেক কষ্ট করে চললেও বিজেপি আমলে মনে করেছিলেন তাদের কপালে এবার হয়তো কিছুটা সুখ ফিরে আসবে৷ কিন্তু সমস্যা আগের থেকে আরো ভয়াবহ রূপ ধারন করে৷ বর্তমানে এই পরিবারটি যে মাটির ঘরে বসবাস করছেন সেই ঘরের ছাউনী নেই৷রোদ বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ভাড়া করে ত্রিপাল দিয়ে ছাউনী দিয়েছেন বলে জানান পরিবারের বড় ছেলে অজিত পাল৷ তিনি আরো জানান, বৃদ্ধ মা বাবাকে নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ভাঙা ঘরে বসবাস করছেন তারা৷ বহুবার স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানিয়েও একটি সরকারী ঘর আজ পর্যন্ত তাদের কপালে জোটেনি৷ বেশ কিছুদিন আগে মায়ের নামে বন্ধন থেকে ঋণ নিয়ে একটি ঘর তৈরি শুরু করেছিলেন৷সে সময় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান দীপ্তি পাল থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা সীতা পাল, ওয়ার্ড মেম্বার নিখিল ও শিপ্রা পাল,বুথ সভাপতি সহ অনেকের কাছে কাতর আবেদন জানিয়েছিলেন একটি সরকারি ঘরের৷অভিযোগ সেই সময় পঞ্চায়েত প্রধান তাকে আশ্বস্ত করেছিলেন, ঘরটি তৈরি না করার জন্য৷ পঞ্চায়েতের তরফে তাদেরকে একটি সরকারী ঘর বরাদ্দ করবেন৷ কিন্তু দীর্ঘ কয়েক বছর অতিক্রান্ত হওয়ার সময় এসে গেলেও আজ অবধি সরকারি ঘর থেকে শুরু করে কোন কিছুই তাদের কপালে জোটেনি বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা৷ তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, সরকারি ঘর পেতে তাকে রেশন কার্ড আলাদা করার জন্য বলা হয়৷সেই মোতাবেক পঞ্চায়েতে রেশন কার্ড আলাদা করতে গেলে তার কাছে থেকে পঞ্চায়েতের এক সদস্য নির্মল মালাকার ১৫০০ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি৷ কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের রেশন কার্ড আলাদা করে দেওয়া হয়নি৷ তাদের বিপিএল রেশন কার্ড থাকা সত্ত্বেও ঘর না পাওয়ার এই দুঃখ যন্ত্রণা বুকে নিয়ে পরিবারের সদস্যরা সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হন৷সাথে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহারা হস্তক্ষেপ কামনা করেন৷ তারা বলেন, একটি বারের জন্য তাদের পরিবার সাথে দেখা করার আবেদন জানিয়েছেন৷ তারা চান মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করে তা সঠিক কিনা তা যাচাই করার জন্য৷ তবে এই ঘটনা সামনে আসতেই শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মহলে ছিঃ ছিঃ রব উঠেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *