কলকাতা, ১৪ ডিসেম্বর (হি. স.) : রাজ্যে নিয়োগে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। আর এবার উঠল এসএসসিতে বয়স ভাঁড়িয়ে নিয়োগের অভিযোগ। ২১ জন শিক্ষকের নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সে কারচুপির অভিযোগটির ক্ষেত্রেও সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিল আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই নির্দেশ দিয়েছেন।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগের ক্ষেত্রে ২১ জনের বয়সে কারচুপি করার অভিযোগ উঠেছে। আদালতের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে একটু নতুন মামলা উঠেছিল। মামলাকারীর বক্তব্য, এক্ষেত্রে চাকরিতে নিয়োগের জন্য বয়সসীমা ৪০ বছর। কিন্তু সেই বয়স পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মামলাকারী।
মামলাকারীর দাবি, “এসএসসি-র দেওয়া মেধাতালিকা তথ্যেই স্পষ্ট, বয়স পেরোনোর পরেও চাকরি। এই তথ্যই সিবিআই তদন্তের দরকার।” বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর হুঁশিয়ারি, “এমন লজ্জাজনক দুর্নীতি দেখলে পুরো প্যানেল বাতিল করে দেব।”
এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে নতুন এই মামলাটি উঠলে বিচারপতি সংশ্লিষ্ট ২১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নির্দেশ দেন। আগামী জানুয়ারি মাসে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। এখন দেখার আগামী দিনে এই মামলার গতিপ্রকৃতি কোন দিকে মোড় নেয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই বছরেরই নভেম্বর মাসে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। অথচ পরবর্তী সময়ে ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। চলতি বছরে এসএসসির ওই নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাতে সমস্ত প্রার্থীর মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। আদালতের নির্দেশ মতো মেধাতালিকা প্রকাশও করে এসএসসি। আর সেই মেধাতালিকা প্রকাশ্যে আসতেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পায়।
2022-12-14

