নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ ডিসেম্বর৷৷ বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়েই মোটা অংকের বিলের টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জম্পুইজলার যুগল কিশোর নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক ব্যক্তি ভোক্তা আদালতে মামলা করার উদ্যোগ নিয়েছেন৷ এবার বিদ্যুৎ দপ্তর সাধারণ মানুষের সাথে জালিয়াতি করে মোটা টাকা কামানোর ধান্দায় নেমে পড়েছে৷ এমনই এক চিত্র উঠে আসলো জম্পুইজলা মহকুমার যুগল কিশোর নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নং ওয়ার্ড এলাকা থেকে৷ জানা যায় গত ২০২০ সালে সরকারি ফ্রি বিদ্যুতের লাইন দিতে এসে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা ওই এলাকার দেবব্রত সরকারের বাড়িতে ৪০০ টাকা প্রণামী নিয়ে উনার ঘরে শুধুমাত্র একটি বৈদ্যুতিক ফিউজ গ্যাং লাগিয়ে দেবব্রত সরকারের রেশন কার্ড এবং আধার কার্ডের জেরক্স কপি নিয়ে যায় এবং বলে যায় পরদিন এসে উনার বাড়িতে ফ্রি বিদ্যুতের লাইন কানেকশন দেওয়া হবে৷কিন্তু তারপর থেকে এক বছর পর্যন্ত বিদ্যুৎ নিগমের কাউকেই দেখা যায়নি দেবব্রত সরকারের বাড়িতে বিদ্যুতের লাইন কানেকশন করতে৷ কিন্তু এক বছর পর হঠাৎ জম্পুইজলা বিদ্যুৎ নিগম অফিসের এক কর্মচারী পাঁচ হাজার টাকার একটি বৈদ্যুতিক বিলের রশিদ নিয়ে হাজির হয় দেবব্রত সরকারের বাড়িতে৷ বিলের রশিদ দিতে এসে বিদ্যুৎ নিগম অফিসের ওই কর্মচারীও হতবাক হয়ে যায়৷ দেবব্রত সরকারের বাড়িতে কোন বিদ্যুতের লাইন দেখতে না পেয়ে যদিও তখন বিদ্যুৎ নিগম অফিসের ওই কর্মচারী দেবব্রত সরকারকে বিদ্যুতের বিলের ওই রশিদ না দিয়ে এই সমস্যাটির সমাধান করে দেবে বলে চলে যায়৷ তারপর গত কয়েকদিন আগে হঠাৎ আবার একটি ১৪৮৯৩ টাকার একটি বিল নিয়ে হাজির হয়৷ বাড়িতে বিদ্যুতের লাইন না থাকা সত্ত্বেও বারবার এভাবে বিদ্যুতের বিল আসার জন্য দেবব্রত সরকার বাধ্য হয়ে জম্পুইজলা বিদ্যুৎ নিগম অফিসে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে বিদ্যুৎ নিগম অফিস থেকে দেবব্রত সরকারকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় উনার এই সমস্যাটির সমাধান করতে হলে ১৫০০০ টাকা জমা দিতে হবে৷ বিদ্যুৎ নিগম অফিসের এই ধরনের অযৌক্তিক কথাবার্তা শুনে অবশেষে নিরুপায় হয়ে দেবব্রত সরকার বাড়িতে চলে আসেন৷ বাধ্য হয়ে দেবব্রত সরকার সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে গোটা বিষয়টি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন৷ তার সাথে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার পেতে ভোক্তা আদালতে জম্পুইজলা বিদ্যুৎ নিগম অফিসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন৷
2022-12-07