কলকাতা, ৫ ডিসেম্বর (হি. স.) : আগামী এক মাস ঝালদা পুরসভার যাবতীয় দায়িত্ব সামলাবেন পুরুলিয়ার জেলাশাসকই। ফলে ইতিমধ্যেই জবা মাছোয়ার নামে যে কাউন্সিলরকে চেয়ারপার্সন হিসাবে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৃণমূল, তা কার্যকর হচ্ছে না। একই ভাবে ঝালদা পুরসভায় আস্থাভোটে জয়ী হওয়ার পর যে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে পুরপ্রধান হিসাবে মনোনীত করেছিল কংগ্রেস, তিনিও দায়িত্ব নিতে পারবেন না।
সোমবার কলকাতা হাই কোর্ট এ কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিল। রবিবার দু’দলের মনোনীত প্রধান জবা এবং শীলা একসঙ্গে ঝালদা পুরসভায় এসে পৌঁছলে ঝালদা নিয়ে ‘নাটক’ নতুন মোড় নেয়। শেষে সমস্যার কথা জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা হাই কোর্ট ঝালদা পুরসভা নিয়ে স্থগিতাদেশ জারি করল। আইনি নির্দেশ, তৃণমূল বা কংগ্রেস— কোনও দলই ঝালদায় তাদের পছন্দের চেয়ারম্যান নিয়োগ করতে পারবে না। এ ব্যাপারে একটি স্থগিতাদেশ জারি করেছে।
ঝালদায় গত ২১ নভেম্বর পুরসভায় আস্থাভোটে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে। অপসারিত হন তৃণমূলের পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল। তার পর থেকেই পুরবোর্ডের প্রধান নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে টানাপড়েন চলছিল।
প্রসঙ্গত, ঝালদায় আস্থাভোটে জিতে কংগ্রেস পুরপ্রধান নিয়োগের অনুমতি চাইলে তার অনুমতি দেওয়া হয়নি। পাল্টা সরকার জানিয়েছিল, যেহেতু পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় পুরপ্রধান এবং উপ পুরপ্রধান দু’জনেই পদত্যাগ করেছেন, তাই সেখানে সরকার প্রশাসক নিয়োগ করবে। সোমবার হাই কোর্ট সেই সিদ্ধান্তেই স্থগিতাদেশে দিয়েছে, তারা বলেছে ঝালদায় আপাতত কোনও প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে না সরকার।
তবে স্থগিতাদেশ পেলেও হরেদরে বিষয়টি এক জায়গাতেই রয়ে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বৃত্তের অনেকে। কারণ অধীরবাবু রাজ্যপালকে জানিয়েছিলেন, সরকার যদি প্রশাসক নিয়োগ করে, তবে পুরবোর্ডে আস্থা ভোটে জিতেও কংগ্রেস তাদের প্রাপ্য অধিকার পাবে না। কারণ ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ থাকবে সরকারের হাতে বকলমে শাসকদলের হাতেও। পুরসভার দায়িত্ব জেলাশাসক নিলে সেই পরিস্থিতি বদলাচ্ছে না।