অন্ধ্রপ্রদেশ-২১২
ত্রিপুরা- ২১৪/৮
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ নভেম্বর।। জয়ের হ্যাটট্রিক ত্রিপুরার। প্রথম দুই ম্যাচে পরাজিত হওয়ার পর ত্রিপুরা দল এভাবে ঘুরে দাড়াবে প্রত্যাশা করেননি ক্রিকেটপ্রেমীরা। পর পর তিন ম্যাচে জয় পেয়ে গ্রুপে আপাতত ভালো জায়গায় রয়েছে ত্রিপুরা। মঙ্গলবার বিক্রম দেবনাথের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স এহং সহ অধিনায়ক শঙ্কর পালের অর্ধশতরানের কঁাধে ভর দিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের বাধা টপকালো ত্রিপুরা। তিরুবন্তপূরমের কে সি এ মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে অনধ্রপ্রদেশের গড়া ২১৩ রানের জবাবে ত্রিপুরা ৬ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। প্রথমে বল হাতে ৪ উইকেট তুলে নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ৭৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ত্রিপুরাকে জয় এনে দিতে মূখ্য ভূমিকা নিয়েছেন বিক্রম। এছাড়া শঙ্কর করেন ৫৪ রান। আপাতত ৫ ম্যাচ খেলে ত্রিপুরার পয়েন্ট ১২। ১ ডিসেম্বর ত্রিপুরা নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলেবে শীর্ষে থাকা চন্ডীগড়ের বিরুদ্ধে। এদিন সকালে ত্রিপুরার অধিনায়ক শ্রীদাম পাল টসে জয়লাভ করে বিপক্ষ দলকে প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যে সঠিক তা শুরু থেকেই বুঝিয়ে দেন ত্রিপুরার বোলাররা। একসময় ৬১ রানে ৭ উইকেট তুলে নিয়ে বিপক্ষ দলের ক্রিকেটারদের হৃৎস্পন্দন বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বিক্রম দেবনাথ-রা। ওই সময় ‘বুধির দূর্গে কুম্ভ’ হয়ে দঁাড়ান এম হেমন্ত রেড্ডি এবং তেজস্বী পুনিতা। ওই দুজন বিপর্যয় কাটিয়ে দলেক এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। সেট হতেই দ্রুত রান তোলার দিকে নজর দেন দুজন। অষ্টম উইকেটে দুজন ৮৭ বল খেলে ১০৬ রান যোগ করে দলকে লড়াইয়ে ফেরান। হেমন্ত ৬০ বল খেলে ৮ টি বাউন্ডারি ও ৩ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৭ এবং তেজস্বী ৩৯ বল খেলে ৪ টি বাউন্ডারি ও ৩ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৮ রান করেন। শেষ দিকে সাকেত রাম ২৪ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২১ রান করেন। ত্রিপুরার পক্ষে বিক্রম দেবনাথ (৪/৩৪), ইন্দ্রজিৎ দেবনাথ (২/৩০) এবং অমরেশ দাস (২/৩২) সফল বোলার। জবাবে খেলতে নেমে ত্রিপুরা ৪৯ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। দলীয় ৩২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ত্রিপুরা যখন খাদের কিনারায় তখন সহ অধিনায়ক শঙ্কর পালের সঙ্গে রুখে দঁাড়ান বিক্রম দেবনাথ। ওই দুজন প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। এবং ত্রিপুরাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। পঞ্চম উইকেটে দুজন যোগ করেন ৯০ রান ১২০ বল খেলে। শঙ্কর ৬৭ বল খেলে ৫ টি বাউন্ডারি ও ২ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৪ রান করেন। এরপর প্রথমে বিক্রমের সঙ্গে কিষান মুড়াসিং, পরে ইন্দ্রজিৎ দেবনাথ এবং শেষে অমরেশ দাস রুখে দাড়ান।কিষান ৯ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারি ও ২ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ঝড়ো ২১ রান করার পর ইন্দ্রজিৎ ৩১ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২০ রান করেন। শেষে অমরেশকে সঙ্গে নিয়ে ত্রিপুরাকে কাঙ্খিত জয় এনে দেন বিক্রম। বিক্রম ১১৬ বল খেলে ৭ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৭ রানে এবং অমরেশ ১২ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩ রানে অপরাজিত থেকে যান। অন্ধ্রের পক্ষে ওয়ারা সন্দীপ (২/৩৯),ত্রিপূর্ণ বিজয় (২/৪২) এবং সেকেত রাম (২/৫৪) সফল বোলার।

