ফাইনালে সেরা মিশরের মুস্তাফা

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ নভেম্বর।। মোস্তাফা মাহমোদ আবদেল খালেক হামাদ। এবারই প্রথম সুদূর মিশর থেকে আগত সাদা চামড়ার কোনও ফুটবলার খেললেন ত্রিপুরার ফুটবলে। এবং পর পর দুই ম্যাচেই নজর কেড়ে নিলেন ফুটবলপ্রেমীদের। ওই বিদেশি ফুটবলারের বিষাক্ত পাসে রীতিমতো বেকায়দায় পড়লো লালবাহাদুর ব্যায়ামাগারের পর ফরোয়ার্ড ক্লাব। ফাইনালে শুরু থেকে চাপে থাকা এগিয়ে চলোকে লড়াই করার মানসিকতা এনে দিলেন সুজিৎ হালদারের ওই ‘‌তুরুপের তাস’‌ টি। ২৩ মিনিটে তঁার বিষাক্ত রক্ষণ চেড়া পাস থেকে যদি অ্যারিস্টাইড গোল না করতেন তাহলে ক্ষমার অযোগ্য থাকতেন। এই সুবাদে রাখাল শিল্ড ফুটবল টুর্নামেন্টের শিরোপাও অর্জন করে নিলো এগিয়ে চলো সংঘ। গোটা ম্যাচে চারজন বিদেশি খেললে ও এগিয়ে চলোর দুই বিদেশিই নজর কারলো মাঠে উপস্থিত সবার। ফরোয়ার্ডের দুই বিদেশি সেরকম ভাবে এদিন পারফরমেন্স তুলে ধরতে পারেননি। তবে মোস্তাফার দুর্দান্ত স্কিল মন কারলো সবার। বিশেষ করে তার বাড়ানো প্রত্যেকটি পাস রীতিমতো ছিল বিষাক্ত। মোস্তাফার প্রথম বিষাক্ত পাস থেকেই গোল আদায় করে নিলো অ্যারিস্টাইড। এই বিদেশি আগামীতে আরো অনেক বিষাক্ত পাস খেলবে লিগে, এটা আশা করাই শ্রেয়।

সঙ্গেত কারনেই ম্যাচের সেরা ফুটবলার বেছে নেওয়া হয় মোস্তাফাকে। তবে দমের ঘাটতি রয়েছে মিশরের ওই ফুটবলারটির। প্রথমার্ধে নিজেরে সেরাটা দিলেও দ্বিতীয়ার্ধে তেমন ভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন দমের অভাবে।