বিশ্বভারতীতে অব্যাহত ছাত্র আন্দোলন ও বিক্ষোভ

বীরভূম, ২৫ নভেম্বর (হি. স.) : বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বিক্ষোভ চলছেই। শুক্রবার এই আন্দোলন ৩ দিনে পড়ল। বিশ্বভারতী উপাচার্যের বাড়ি সামনে বিক্ষোভে পড়ুয়ারা। উপাচার্যের বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে প্যান্ডেল বেঁধে বিক্ষোভ চালাচ্ছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা।

বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে অপসারনের দাবিতে উপাচার্যের বাংলোর সামনে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন পড়ুয়াদের একাংশ। শিক্ষার পরিবেশ ফেরানো ও উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে বুধবার থেকে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

বুধবার উপাচার্যের অফিসে ঢুকতে গেলে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে হাতাহাতি বেধে যায় নিরাপত্তারক্ষীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসে ঘেরাও করে রাখা হয় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। অবশেষে প্রায় ১২ ঘণ্টা পর, বুধবার গভীর রাতে শাবল-গাঁইতি দিয়ে গেটের তালা ভেঙে উপাচার্যর অফিসের ভিতরে ঢোকেন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা। তারপর পুলিশ এসে, রাত তিনটে নাগাদ নিয়ে যায় উপাচার্যকে।

উপাচার্য ঘেরাওমুক্ত হওয়ার পর আন্দোলনের ঝাঁজ আরও বাড়ে। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সরকারি বাসভবনের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ বেধে শুরু হয় অবস্থান- বিক্ষোভ। কিন্তু, সেই মঞ্চে বসতে বাধা দেয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়ে মঞ্চ খুলে দেওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে ১০০ মিটার দূরে ফের মঞ্চ বেধে ফের অবস্থানে বসেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। উপাচার্যর নামে একাধিক পোস্টার লাগানো হয়। অন্যদিকে, ছাত্র বিক্ষোভের জেরে উপাচার্যের বাড়ির সামনে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।

পড়ুয়াদের অভিযোগ, অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে বসার পর থেকে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য ও আদর্শ কলুষিত হচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আন্দোলনকারী পড়ুয়া, অধ্যাপক ও কর্মীদের বেছে বেছে কখনও সাসপেন্ড কখনও বা বহিষ্কার করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *