‘নিশ্চিত ভাবেই মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল’, হাইকোর্টের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া ব্রাত্যর

কলকাতা, ২৫ নভেম্বর (হি. স.) : ‘বেনামি আবেদন’ মামলায় হাইকোর্টের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বললেন, ‘নিশ্চিত ভাবেই মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল। আইনি পরামর্শ নিতে বলেছিলাম।’

শুক্রবার হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন জানান, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নির্দেশেই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি হয় করা হয়। শুনে বিস্মিত বিচারপতির প্রশ্ন ছিল, ‘‘আইনে সংস্থান নেই, তবু কী ভাবে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত?’

‘রাজ্য মন্ত্রিসভার অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরির সিদ্ধান্তে আমি বিস্মিত আপনি কি জানেন, কমিশনের আইন অনুযায়ী বেআইনি নিয়োগ করা যায় না? তার পরেও কেন তৈরি করা হল বেআইনি শূন্যপদ?’, ‘বেনামি আবেদন’ মামলায় শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শিক্ষাসচিব বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত স্তর থেকে নির্দেশ এসেছিল। শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ এসেছিল।’

তাঁর দাবি, শিক্ষামন্ত্রী আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছিলেন। এর পরে আইন দফতরের সঙ্গে কথা হয়। এজি-র সঙ্গেও কথা বলা হয় বলে জানান মণীশ জৈন।
সঙ্গে শিক্ষাসচিবের সংযোজন, এসএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল বিষয়টি নিয়ে। শিক্ষাসচিবের দাবি, ‘মুখ্যসচিবকে জানিয়ে ক্যাবিনেটে নোট পাঠানো হয়।’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পাল্টা প্রশ্ন, ‘অবৈধদের নিয়োগ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন আইনজীবীরা? ‘আপনার কি মনে হয় না যে অবৈধদের বাঁচানোর জন্যই এই অতিরিক্ত শূন্যপদ? অবৈধদের সরানোর কোনও সিদ্ধান্ত হয়েছিল?’
গোটা বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় ঝরে পড়ে তাঁর কথায়। বলেন, ‘আমি বিস্মিত যে কী ভাবে ক্যাবিনেটে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? মন্ত্রিসভাকে বলতে হবে যে তাঁরা অযোগ্যদের পাশে নেই।’ সঙ্গে জানান, ১৯ মে-র বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে এমন পদক্ষেপ করা হবে যা গোটা দেশে কখনও করা হয়নি।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘হয় গণতন্ত্র সঠিক হাতে নেই, না হলে গণতন্ত্র বিকশিত হয়নি।’ সঙ্গে হুঁশিয়ারি, ‘ক্যাবিনেটকে পার্টি করে দেব। সকলকে এসে উত্তর দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক প্রত্যাহার করার জন্য বলব। দল হিসেবে তাদের মান্যতা প্রত্যাহার করতে বলব। সংবিধান নিয়ে যা ইচ্ছে করা যায় না।’