উত্তর ২৪ পরগনা, ২২ নভেম্বর (হি. স.) : তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে উত্তপ্ত বসিরহাট। গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক পুলিশকর্মীও। বসিরহাটের শাকচুড়ার বাজারে সোমবার রাত ১০টা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে। আর তার জেরে পুরো এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। মঙ্গলবারও রয়েছে উত্তেজনা। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সিরাজুল ইসলাম বেশে-সহ ৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিরাজুল বসিরহাট ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নজরুল হকের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেও পরিচিত।
শাকচুড়া বাজারের টাকি রোডের উপরে তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয় রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাতে সেখানে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ শুরু হয়। সেখান থেকে একে অপরের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে দুই গোষ্ঠী। এর পর দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও শুরু হয়।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে সোমবার রাত দশটা নাগাদ খবর পেয়ে গন্ডগোল মেটাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বসিরহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেখানে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গুলিতেই জখম হন অনন্তপুর পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল প্রভাস সর্দার। গুলি এসে লাগে ৪২ বছর বয়সি প্রভাসের বাম কাঁধে। পুলিশও শূন্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। এই নিয়ে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
পুলিশ কনস্টেবল প্রভাসকে বসিরহাটের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও হাসপাতাল সূত্রে খবর। ঘটনাস্থলে জেলার পুলিশ সুপার জবি থমাস এবং অন্য পুলিশ আধিকারিকদের নেতৃত্বে জমা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তরফে তদন্তও শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ কর্মী ভবতোষ দাস বলেন, ‘‘গন্ডগোল চলছে খবর পেয়ে আমরা ওখানে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়েছিলাম। আচমকা ছ’সাতটি ঢিল ছোড়ার পর গুলি চালায়। হঠাৎ দেখি আমাদের পুলিশ কনস্টেবল মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন। কিসের জন্য এই গন্ডগোল এবং কেন এই ঝামেলা, তা আমরা জানি না।’’

